কলকাতা, 6 মার্চ: নতুন করে ফের সংঘাতের আবহ তৈরি হল রাজ্য ও রাজ্যপালের মধ্যে ৷ যার নেপথ্যে রয়েছে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে করা একটি টুইট (Tweet of Jagdeep Dhankhar on Mamata Banerjee) ৷ রবিবার দুপুরে এই টুইটটি করেছেন রাজ্যপাল ৷ সেখানে একটি প্রেস বিবৃতি দেওয়া হয়েছে ৷ রাজ্যপাল যে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ, আলোচনায় বসতে আগ্রহী, কিন্তু উল্টোদিক থেকে সেরকম আগ্রহ দেখানো হচ্ছে না, এই বিবৃতির ছত্রে ছত্রে তার উল্লেখ রয়েছে ৷ রাজ্যপাল তাঁর সাংবিধানিক দায়িত্ব মেনে যে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসার চেষ্টার ত্রুটি রাখেননি, তা জনসমক্ষে আনতেই এই বিবৃতি প্রকাশ করা হচ্ছে বলেও রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছে ৷
এই বিবৃতির বয়ান অনুযায়ী, সংবিধানিক শীর্ষ পদে থাকা দুই ব্যক্তির মধ্যে আলাপ, আলোচনার গুরুত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে গত 15 ফেব্রুয়ারি রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছিলেন ৷ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে দ্রুত আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছিলেন ৷ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর তরফে সেই চিঠির কোনও জবাব না আসায় 22 ফেব্রুয়ারি ফের একটি চিঠি লেখেন রাজ্যপাল ৷
রাজভবনের দাবি, 23 ফেব্রুয়ারি এই চিঠির জবাব দেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ চিঠিতে তিনি লেখেন, "আমি 22 ফেব্রুয়ারি আপনার পাঠানো চিঠি পেয়েছি ৷ বর্তমানে আমার ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে ৷ বিধানসভার অধিবেশন শুরু হওয়ার পর আমি নিশ্চয়ই আপনাকে ধন্যবাদ জানাতে আসব, চা খেয়ে যাব আপনার সঙ্গে ৷ " রাজভবনের দাবি, রাজ্যপাল যে গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছিলেন, তার গুরুত্বই অনুধাবন করতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী ৷ বিষয়টি নিয়ে 24 ফেব্রুয়ারি ফের একটি চিঠি মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠান জগদীপ ধনকড় ৷ সেই চিঠিতে রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের মধ্যে আলোচনার প্রয়োজনীয়তা ফের তুলে দেওয়া হয় ৷ মুখ্যমন্ত্রী যে বিষয়টিকে অগ্রাহ্য করতে চাইছেন সেই কথা বলা হয় চিঠিতে ৷
আরও পড়ুন : আগামিকাল বিধানসভার বাজেট অধিবেশন, ভাষণ সম্প্রচার নিয়ে টুইট ধনকড়ের
রাজ্যপাল লাগাতার দু‘বছর ধরে যে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসার চেষ্টা করে গেলেও সেই চেষ্টা যে ব্যর্থ হয়েছে, তারও উল্লেখ রয়েছে রবিবার রাজ্যপালের তরফে প্রকাশিত এই বিবৃতিতে ৷ শনিবারও রাজ্যপাল বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বার্তা পাঠিয়েছেন বলে এই বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে ৷ বলা হয়েছে, রাজ্যপাল মনে করেন আলোচনা বন্ধ থাকার এই শৈততার দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়া উচিত ৷