পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / city

বিচার পেলেন মহিলা বক্সার, দোষীদের সাজা দিল আলিপুর আদালত - কলকাতা পুলিশ

8 মাসের মধ্যে বিচার পেলেন মহিলা বক্সার । মোমিনপুর ব্যাসস্ট্যান্ডে মহিলা বক্সারকে হেনস্থার ঘটনায় গ্রেপ্তার তিন দোষীদের সাজা শোনাল আলিপুর আদালত ৷ 323, 354 মারধর ও শ্লীলতাহানি দুটি ধারাতেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছে তিনজন ।

female boxers
female boxers

By

Published : Feb 25, 2020, 11:40 PM IST

Updated : Feb 26, 2020, 12:17 AM IST

কলকাতা, 25 ফেব্রুয়ারি : দ্রুতই শেষ হল বিচার প্রক্রিয়া । পুলিশের তৎপরতায় দোষীদের হল কাস্টোডি ট্রায়াল । ঘটনার 8 মাসের মধ্যে বিচার পেলেন মহিলা বক্সার । ভারতীয় দণ্ডবিধির 323, 354 মারধর ও শ্লীলতাহানি দুটি ধারাতেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছে তিনজন । সেই সূত্রে তাদের আলিপুর কোর্টের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মারধরের জন্য এক বছরের সাজা ও শ্লীলতাহানির জন্য এক বছর সাজা । পাশাপাশি মারধর করার জন্য এক হাজার টাকা জরিমানা ও শ্লীলতাহানির জন্য 5000 টাকা জরিমানাও করা হয়েছে । এই ঘটনা সর্বপ্রথম প্রকাশ্যে নিয়ে আসে ETV ভারত । তারপরেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন ও কলকাতা পুলিশ । তাই আজকের খুশির দিনে ওই মহিলা বক্সার ধন্যবাদ জানিয়েছেন ETV ভারতকে । একইসঙ্গে দুষ্কৃতীরা সাজা পাওয়ায় উচ্ছ্বসিত তিনি । সেই সঙ্গে কলকাতা পুলিশের ভূমিকার প্রশংসাও করেছেন ওই বক্সার ।

যদিও প্রথমে ক্ষোভ জানিয়েছিলেন পুলিশের ভূমিকা নিয়েই । ঘটনার দিন দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশকর্মী তাঁর সাহায্যে এগিয়ে আসেনি বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি । সেটা ছিল 28 জুন, 2019 । সকালে 11:15 নাগাদ হেনস্থার শিকার হতে হয় বছর বাইশের ওই মহিলা বক্সারকে । তখন মহাকরণে অফিসে যাচ্ছিলেন তিনি । মোমিনপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে বছর পঁচিশের এক যুবক তাঁর স্কুটির সামনে এসে দাঁড়ায় । বক্সারকে উদ্দেশ্য করে শুরু করে গালিগালাজ । তিনি প্রতিবাদ করেন । তখনি আরও দুই যুবক জড়ো হয়ে যায় । তিনজন মিলে শুরু করে ব্যাপক মারধর ।

ওই বক্সার অভিযোগ করেছিলেন সেই সময় তাঁর কাছেই দাঁড়িয়ে ছিলেন এক পুলিশকর্মী । তিনি সাহায্যে এগিয়ে আসেননি । তাঁর কাছে সাহায্য চাওয়া হলে বলা হয় থানায় যাওয়ার জন্য । ওই মহিলা বক্সার চাকরি করেন রাজ্য সরকারের কৃষি দপ্তরে । তাঁর সঙ্গে সেই দিন ঘটা গোটা ঘটনা ETV ভারতে প্রকাশিত হয় সর্বপ্রথম । তারপরই হইচই পড়ে যায় সর্বত্র । সক্রিয় হয় পুলিশ । দক্ষিণ বন্দর থানার পুলিশকর্মীরা নিজেই পৌঁছে যান ওই বক্সারের কাছে । পরে দক্ষিণ বন্দর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বক্সার । তৎপরতার সঙ্গে দক্ষিণ বন্দর থানার পুলিশ তিন দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করে । তাদের নাম রাহুল শর্মা, শেখ ফিরোজ ও ওয়াসিম খান । তাদের বিরুদ্ধে 11 দিনের মধ্যেই চার্জশিট পেশ করে পুলিশ । ফলে অনেক চেষ্টা চরিত্র করেও জামিন পায়নি ওই তিনজন । হয়ে যায় কাস্টোডি ট্রায়াল । সেই ঘটনার আজ সাজা ঘোষণা করে আলিপুর আদালত ।

এই প্রসঙ্গে ওই বক্সার বলেন, "আমি ভীষণভাবে খুশি হয়েছি । সবথেকে বড় কথা ওরা জামিন পায়নি । পুলিশ অত্যন্ত ভালো কাজ করেছে ।" পাশাপাশি তিনি প্রশংসা করেন ETV ভারতের ভূমিকার । বলেন, "সবার প্রথম এই খবর প্রচারিত হয়েছিল ETV ভারতে । অনেক ধন্যবাদ ETV ভারতকে । যে কোনও ধরনের অপরাধের ঘটনায় এভাবেই মানুষের পাশে দাঁড়াক ETV ভারত । যেমনটা আমার পাশে দাঁড়িয়েছিল ।"

Last Updated : Feb 26, 2020, 12:17 AM IST

ABOUT THE AUTHOR

...view details