কলকাতা, 25 ফেব্রুয়ারি : দ্রুতই শেষ হল বিচার প্রক্রিয়া । পুলিশের তৎপরতায় দোষীদের হল কাস্টোডি ট্রায়াল । ঘটনার 8 মাসের মধ্যে বিচার পেলেন মহিলা বক্সার । ভারতীয় দণ্ডবিধির 323, 354 মারধর ও শ্লীলতাহানি দুটি ধারাতেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছে তিনজন । সেই সূত্রে তাদের আলিপুর কোর্টের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মারধরের জন্য এক বছরের সাজা ও শ্লীলতাহানির জন্য এক বছর সাজা । পাশাপাশি মারধর করার জন্য এক হাজার টাকা জরিমানা ও শ্লীলতাহানির জন্য 5000 টাকা জরিমানাও করা হয়েছে । এই ঘটনা সর্বপ্রথম প্রকাশ্যে নিয়ে আসে ETV ভারত । তারপরেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন ও কলকাতা পুলিশ । তাই আজকের খুশির দিনে ওই মহিলা বক্সার ধন্যবাদ জানিয়েছেন ETV ভারতকে । একইসঙ্গে দুষ্কৃতীরা সাজা পাওয়ায় উচ্ছ্বসিত তিনি । সেই সঙ্গে কলকাতা পুলিশের ভূমিকার প্রশংসাও করেছেন ওই বক্সার ।
যদিও প্রথমে ক্ষোভ জানিয়েছিলেন পুলিশের ভূমিকা নিয়েই । ঘটনার দিন দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশকর্মী তাঁর সাহায্যে এগিয়ে আসেনি বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি । সেটা ছিল 28 জুন, 2019 । সকালে 11:15 নাগাদ হেনস্থার শিকার হতে হয় বছর বাইশের ওই মহিলা বক্সারকে । তখন মহাকরণে অফিসে যাচ্ছিলেন তিনি । মোমিনপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে বছর পঁচিশের এক যুবক তাঁর স্কুটির সামনে এসে দাঁড়ায় । বক্সারকে উদ্দেশ্য করে শুরু করে গালিগালাজ । তিনি প্রতিবাদ করেন । তখনি আরও দুই যুবক জড়ো হয়ে যায় । তিনজন মিলে শুরু করে ব্যাপক মারধর ।