কলকাতা, 24 অগস্ট: রাজ্যে যখন গরু পাচার কাণ্ডে (Cattle Smuggling Case) তদন্তে নেমে একাধিক তথ্য প্রমাণ জোগার করছে সিবিআই, ঠিক সেই সময়ই গরু পাচার কাণ্ডে অভ্যন্তরীণ তদন্তে নেমেছে রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডি (CID)। গরু পাচারের একটি পুরনো মামলায় মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে ঘুরলেন সিআইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা । ভবানী ভবন সূত্রের খবর, রঘুনাথগঞ্জ ও সুতি থানা এলাকার একাধিক ব্যক্তি এবং বিশেষ করে পঞ্চায়েত প্রধান ও পঞ্চায়েত কর্মীদের গরু পাচার কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় । এছাড়াও এলাকায় একাধিক গরুর হাট এবং গরুর খামারগুলিতে তদারক করেন সিআইডির গোয়েন্দারা ।
Cattle Smuggling Case সিবিআইয়ের পাশাপাশি গরু পাচারের তদন্তে ময়দানে সিআইডি - সিবিআই
সিবিআইয়ের (CBI) পাশাপাশি এ বার গরু পাচারের (Cattle Smuggling Case) তদন্তে ময়দানে নামল সিআইডি (CID)৷ সিআইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা আজ মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে গিয়ে বিভিন্ন গরুর হাট ও খামার তদারক করেন ৷
জানা গিয়েছে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া বড় শিমুল দয়ারামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক সদস্যের সঙ্গে সিআইডির গোয়েন্দারা কথা বলেন ৷ মূলত খামার সম্পর্কে তাঁরা তথ্য নথিভুক্ত করেন বলে জানা গিয়েছে । ইতিমধ্যেই রাজ্যে গরু পাচার কাণ্ডে তদন্ত নেমে বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই । তাছাড়াও সিবিআই-এর অনুমান, গরু পাচার করে একাধিক ব্যক্তি যাঁরা অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ, তাঁরা বিভিন্নভাবে লাভবান হয়েছেন । শুধু লাভবান নয়, কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে তাঁদের নামে ৷ এছাড়াও গরু পাচারের লভ্যাংশের একটি বড় অংকের টাকা গিয়েছে রাজ্যের একাধিক প্রভাবশালী এবং প্রশাসনিক কর্তা-ব্যক্তির পকেটে ।
সিবিআইয়ের অনুমান, এ ক্ষেত্রে বাদ যাননি কেন্দ্রীয় সংস্থার একাধিক কর্তা ব্যক্তিও । রাজ্যে যখন গরু পাচার কাণ্ডে কোমর বেঁধে তদন্তে নেমেছে সিবিআই, ঠিক সেই সময় গরু পাচার কাণ্ডে অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করল সিআইডি ।