কলকাতা, 27 মার্চ : এমনই দাপট যে বাঘে-গরুতে একঘাটে জল খায় ৷ কোনও ব্যক্তিকে দোর্দণ্ডপ্রতাপ বোঝাতে প্রায়ই এই বাক্যটি ব্যবহার করা হয় ৷ এখন থেকে এক যুগ পিছনে ফিরে তাকালে এই বাক্যটি সুশান্ত ঘোষকে ব্যাখ্যা করতে একেবারে যথাযথ হত ৷ পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ জঙ্গলমহল এলাকায় এতটাই ছিল তাঁর দাপট ৷
কিন্তু সময়ের সঙ্গে যে অনেক কিছু বদলে যায়, তার প্রমাণ মিলল শনিবার ৷ এক সময় যে এলাকা ছিল সুশান্ত ঘোষের গড়, সেখানেই ধাক্কা খেলেন তিনি ৷ ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই ভিড়ের মাঝে হারিয়ে গেলেন অভিযুক্ত ৷ এখানেই শেষ নয়, এবার সিপিএমের শালবনি বিধানসভার প্রার্থী সুশান্ত ঘোষকে ঘিরে বিক্ষোভও চলল বিভিন্ন জায়গায় ৷ গাড়িও ভাঙচুর করা হয় ৷ যা এক সময় একেবারে ভাবাই যেত না ৷
কিন্তু কেন এই বিক্ষোভ ? কারা দেখালেন বিক্ষোভ ? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে নানা মহল থেকে নানা ব্যাখ্যা পাওয়া যাচ্ছে ৷ কারও কারও দাবি, এই বিক্ষোভের পিছনে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ আবার কারও কারও মতে, সাধারণ মানুষই বিক্ষোভ দেখিয়েছেন ৷
উল্লেখ্য, 2011 সালে তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর জঙ্গলমহলে একাধিক কঙ্কাল উদ্ধার হয় ৷ সেই কঙ্কালকাণ্ডে অভিযোগের আঙুল ওঠে সুশান্ত ঘোষের বিরুদ্ধে ৷ গ্রেফতার হতে হয় তাঁকে ৷ এমনকী, কয়েক বছর জেলেও থাকতে হয় ৷