কলকাতা, 7 এপ্রিল: কোরোনা আক্রান্ত এক রোগীর মৃত্যুর জেরে NRS মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে 79 জনকে কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার এই 79 জনের মধ্যে 30 জনের সোয়াব নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে নেগেটিভ এসেছে।
ধাপে ধাপে NRS মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এই 79 জনের নমুনা পরীক্ষা করা হবে বলে জানা গিয়েছিল। প্রথম দফায় পাঠানো হয়েছিল 30টি নমুনা। এই 30টি নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট মঙ্গলবার এসেছে। পরে আরও দুই দফায় একবার 20টি এবং অন্যবার 14টি নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। সূত্রের খবর, এই 20টি নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট মঙ্গলবার রাতে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এখনও পর্যন্ত 64 জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। বাকি 15 জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।
কলকাতার বাসিন্দা বছর 34-এর এক যুবকের চিকিৎসা চলছিল NRS মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। সূত্রের খবর, এই যুবক হিমোফিলিয়া আক্রান্ত ছিলেন। এই যুবক যে নভেল কোরোনা ভাইরাস ডিজিজ (COVID-19)-এ আক্রান্ত হতে পারেন, তা প্রথমে বোঝা যায়নি। যে কারণে এই যুবককে গত 30 মার্চ এই হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের মেল ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়েছিল। তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে, পরের দিন তাঁকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট (CCU)-এ স্থানান্তর করা হয়। সূত্রের খবর, এই হাসপাতালে ভর্তি করার চার দিনের মাথায় এই যুবকের কিছু উপসর্গ দেখে চিকিৎসকদের সন্দেহ হয়। এই যুবক COVID-19-এ আক্রান্ত কি না, তা নির্ণয়ের জন্য পরের দিন অর্থাৎ, গত শুক্রবার তাঁর নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।
গত শনিবার, 4 এপ্রিল CCU-তে ওই যুবকের মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুর পর, গত শনিবার, 4 এপ্রিল ওই যুবকের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া যায়। রিপোর্টে দেখা যায়, ওই যুবকের COVID-19 পজিটিভ। ওই রোগীর মৃত্যুর জেরে NRS মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে 79 জনকে কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে।
NRS-এ 79 চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর 30 জনের রিপোর্ট নেগেটিভ - কোয়ারানটাইন
NRS মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এই 79 জনের নমুনা পরীক্ষা করা হবে বলে জানা গিয়েছিল। প্রথম দফায় পাঠানো হয়েছিল 30টি নমুনা। এই 30টি নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট মঙ্গলবার এসেছে। পরে আরও দুই দফায় একবার 20টি এবং অন্যবার 14টি নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। সূত্রের খবর, এই 20টি নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট মঙ্গলবার রাতে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এখনও পর্যন্ত 64 জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
NRS মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
সূত্রের খবর, এই রোগীর ক্ষেত্রে প্রথমে বোঝা না যাওয়ার কারণে প্রথম দিন তাঁকে মেডিসিন বিভাগের মেল ওয়ার্ডে রাখা হয়েছিল। পরের পাঁচ দিন অর্থাৎ, মৃত্যু পর্যন্ত এই রোগীকে রাখা হয়েছিল CCU-তে। এই ঘটনার জেরে অনেকের সংস্পর্শে এসেছিলেন এই রোগী। যে কারণে এত বেশি সংখ্যক চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীকে কোয়ারান্টাইনে রাখতে হয়েছে।