বর্ধমান, 21 নভেম্বর : নিজের দলের কর্মীদের বিরুদ্ধেই তোপ দাগলেন বর্ধমানের তৃণমূল নেতা খোকন দাস । প্রকাশ্যে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, "যাঁরা CPI(M) থেকে তৃণমূলে এসে দলের ভাবমূর্তি ক্ষতি করার চেষ্টা করছে মেরে তাঁদের ঠ্যাং হাত পা ভেঙে দেব ।" তাঁর বক্তব্য নিয়ে দলের মধ্যেই বিতর্ক দেখা দিয়েছে ।"
ভাবমূর্তি নষ্ট করলে দলের নেতাদের ঠ্যাং ভাঙার হুঁশিয়ারি তৃণমূল নেতার - bardhaman
বর্ধমানের তৃণমূল নেতা খোকন দাস প্রকাশ্যে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, " কিছু কিছু CPI(M) থেকে আসা লোক আজকে তৃণমূলে ঢুকে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে । সন্ধে হলে মদ খাচ্ছে, রাত হলে গাঁজা খাচ্ছে । BJP-র ছেলেদের সঙ্গে ঘুরে তাঁরা আজ 33 নম্বর ওয়ার্ডের পরিবেশকে নষ্ট করতে চাইছে । এটা হতে দেব না ৷ মেরে ঠ্যাং হাত পা ভেঙে দেব। তৃণমূল দলকে নষ্ট হতে দেব না ।"
এর আগে বর্ধমানের 33 নম্বর ওয়ার্ডের ষাঁড়খানা গলিতে ক্লাব দখলকে নিয়ে ঝামেলা বাধে । অভিযোগ, ওই ক্লাবের দখল নেয় বর্ধমান পৌরসভার 33 নং ওয়ার্ডের যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মেহেরাজ খান । এর জেরেই তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে শুরু হয় গোষ্ঠী কোন্দল । বিষয়টি কানে যায় বর্ধমান পৌরসভার প্রাক্তন MIC তথা তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক খোকন দাসের । 33 নং ওয়ার্ডের ষাঁড়খানা গলিতে ছটপুজো উপলক্ষে একটা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসেন খোকন দাস । মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, " কিছু কিছু CPI(M) থেকে আসা লোক আজকে তৃণমূলে ঢুকে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে । সন্ধে হলে মদ খাচ্ছে, রাত হলে গাঁজা খাচ্ছে । BJP-র ছেলেদের সঙ্গে ঘুরে তাঁরা আজ 33 নম্বর ওয়ার্ডের পরিবেশকে নষ্ট করতে চাইছে । মেহেরাজ এখানকার কীসের নেতা । আগে CPI(M) করতো । মস্তানী করা ছাড়া, ও কীসের নেতা । ওকে কে কী কাগজ দিয়েছে আর সেই কাগজ নিয়ে ও এখানে মস্তানি করবে আর গুড্ডু রায়নার ওপার থেকে এসে মস্তানি করবে সেটা হতে পারে না । মেরে ঠ্যাং হাত পা ভেঙে দেব। তৃণমূল দলকে নষ্ট হতে দেবো না । যারা মনে করে তৃণমূল কংগ্রেসকে নষ্ট করব তাদের যদি ক্ষমতা থাকে লড়াই করে BJP-র সঙ্গে ।"
তিনি আরও বলেন, " আমরা মারামারি পছন্দ করি না । আমরা মানুষকে ভালোবাসি । আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতকে শক্তিশালী করতে চাই । 25 -30 টা ছেলে রাতে টাকা তুলছে, মদ খাচ্ছে পার্টি অফিস দখল নিচ্ছে । দলীয় অফিস দখল নেওয়া ছুটিয়ে দেব । যারা তৃণমূলের নাম করে এসব করবে তাদের উচিত শিক্ষা দিয়ে দেব । যারা রাতের অন্ধকারে BJP-র সঙ্গে একযোগে তৃণমূলকে নষ্ট করতে চাইবে আমরা তাদের ছেড়ে কথা বলব না । আমরা প্রশাসনকে জানিয়ে রেখেছি । প্রয়োজনে তারা যদি ব্যবস্থা না নেয় তাহলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা প্রশাসনকে ঘেরাও করা হবে ।"