কলকাতা, 10 অগাস্ট : হোম আইসোলেশনে থাকা কোরোনা সংক্রমিত রোগীদের একাংশকে পাঠানো হতে চলেছে শোকজ় নোটিশ । কলকাতার কোরোনা সংক্রমণের সংখ্যা প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে । এর একটি বড় কারণ হল, যারা হোম আইসোলেশন রয়েছে তারা বিধিনিষেধ মানছে না। এমন তথ্য উঠে এসেছে কলকাতা পৌরনিগমের সমীক্ষায় । কলকাতা পৌরনিগম ও রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের কাছে বার বার অভিযোগ আসছিল, যারা হোম আইসোলেশন রয়েছে তারা বিধি-নিষেধ সঠিকভাবে না মানার ফলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে । এরপরই রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের নির্দেশিকা মেনে কলকাতা পৌরনিগম স্থির করে হোম আইসোলেশনে থাকা আক্রান্ত রোগীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নজরদারি করা হবে । হোম আইসোলেশন থেকে যারা নিয়ম বিধি মানছে না তাদের একটি নামের তালিকা তৈরি করা শুরু হয়েছে ।
কোরোনা : হোম আইসোলেশন থাকা রোগীদের একাংশকে শোকজ় করবে পৌরনিগম
হোম আইসোলেশনে থাকা কোরোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের একাংশ নিয়ম মানছে না । ফলে বাড়ছে সংক্রমণ । এবার তা নিয়ে কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে কলকাতা পৌরনিগম ।
কলকাতা পৌরনিগমের প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য ও স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতীন ঘোষ বলেন, "কোরোনা আক্রান্ত হয়ে অনেকেই হোম আইসোলেশনে থাকতে চাইছে না । রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর কিছু নির্দেশ দিয়েছে । সেই নির্দেশগুলি হোম আইসোলেশনে থাকাকালীন মেনে চলতে হবে রোগীদের । কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে যারা হোম আইসোলেশন রয়েছে তারা সরকারি বিধিনিষেধ মেনে চলছে না। সংক্রমিত ব্যক্তিরা যত্রতত্রভাবে রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে । নিজেদের পরিবারের মধ্যেই অসচেতন হয়ে মেলামেশা করছে । ফলে বাড়িতে থাকা পরিবারের বাকি সদস্যরা সংক্রমিত হচ্ছে এবং এলাকার মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে । তাই রাজ্য সরকারের দেওয়া বিধিনিষেধ ভাঙার দায়ে তাদের শোকজ় নোটিশ পাঠানো হবে।"
স্বাস্থ্যদপ্তরের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোরোনা আক্রান্ত ব্যক্তি কোন চিকিৎসকের অধীনে রয়েছে তা জানাতে হবে । বাড়িতে কোন ব্যক্তি তার দেখাশোনা করছে তা জানাতে হবে । এবং বাড়ির ভিতরে আইসোলেশন থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । অতীন ঘোষ জানিয়েছেন, এই শোকজ় নোটিশের মাধ্যমে জানতে চাওয়া হবে কী কারণে তারা সরকারি নির্দেশ মেনে চলছে না । সেই সঙ্গেই তাদের সতর্ক করা হবে যাতে সরকারি বিধিনিষেধ মেনে চলে ।
অতীন ঘোষ আরও জানান, সংক্রমণ ধরা পড়ার পরে স্বাস্থ্যের অবনতি বা কোন রকম জটিলতা থাকলে সেই ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভরতি করানো হচ্ছে। প্রয়োজনে কোয়ারানটিন সেন্টারে রাখা হচ্ছে। কিন্তু যারা উপসর্গহীন বা লঘু উপসর্গ রয়েছে তাদের হোম আইসোলেশনে রাখা হচ্ছে । যদি শর্ত মেনে আক্রান্ত ব্যক্তিরা বাড়িতে না থাকতে পারে তাহলে পুলিশের সাহায্য নিয়ে তাদের কোয়ারানটিন সেন্টারে অথবা হাসপাতালে ভরতি করানো হবে বলেও জানান তিনি।