গোলাঘাট, 22 ডিসেম্বর: গার্হস্থ্য হিংসার ঘটনায় আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন মহিলা। তাঁর অভিযোগ, স্বামী তাঁর উপর লাগাতার মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন করে ৷ জানা গিয়েছে, বুধবার অসুস্থ হয়ে পড়লে ওই মহিলা এক চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন। সিআরপিএফ ক্যাম্প কোয়ার্টারের ডাক্তারের দেওয়া চারটি আলাদা ওষুধের চারটি স্ট্রিপ থেকেই সব ওষুধ খেয়ে ওই মহিলা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন বলে খবর। জানা গিয়েছে, মহিলার স্বামী পেশায় একজন সিআরপিএফ অফিসার। হায়দরাবাদের বাসিন্দা সিআরপিএফ সহকারী কমান্ড্যান্ট শ্রীকান্ত গোলাঘাট জেলার উরিয়ামঘাটে অসম-নাগাল্যান্ড সীমান্তের সি-সেক্টরে পোস্টিং রয়েছেন।
আত্মহত্যার চেষ্টার পরে মহিলাকে দ্রুত গোলাঘাট সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গত দুই দিন ধরে তাঁর চিকিৎসা চলছে। শুক্রবার তিনি স্বামী শ্রীকান্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, তাঁর উপর স্বামী মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করতেন ৷ এমনকী তিনি অভিযোগ করে জানান, তাঁর মা-ও স্বামীর নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
ওই মহিলা জানিয়েছেন, দুই বছর আগে শ্রীকান্তের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। কিন্তু আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের বিয়ে রেজিস্ট্রেশন হয়নি। বিয়ের কিছুদিন পরই তাঁর স্বামী ডিভোর্সের কথা জানায়। অভিযুক্ত মহিলা জানায়, স্বামী তাঁর বিরুদ্ধে ভুয়ো ডিভোর্সের মামলাও করেছেন। তিনি আরও জানান, পন এবং সোনার জন্য শাশুড়িও তাঁকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন। অভিযোগ অনুযায়ী, শ্রীকান্ত বারবার তার স্ত্রীকে মানসিক প্রতিবন্ধী হিসেবে হত্যা করতেও চেয়েছিলেন। এমনকী এই সময়ে তাঁর স্বামী তাঁকে দু'বার গর্ভপাত করতে বাধ্য করার গুরুতর অভিযোগও করেছেন মহিলা। মহিলার অভিযোগ, শ্রীকান্ত বারবার প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন যে তাঁর স্ত্রী মানসিকভাবে অসুস্থ।
উল্লেখ্য, সিআরপিএফ অফিসারের স্ত্রী ওই মহিলা উচ্চ শিক্ষিত। সে প্রশাসনিক পরীক্ষাতেও বসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সিআরপিএফ অফিসার শ্রীকান্ত তার স্ত্রীকে তার থেকে বড় পদে বসতে দিতে চান না। স্ত্রীর অভিযোগ, চরিত্র নিয়ে সন্দেহ করে তাঁকে দিনের পর দিন হয়রানিও করেছেন স্বামী ৷ এদিকে অভিযুক্ত অফিসার শ্রীকান্ত বা সিআরপিএফ-এর ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা এই ঘটনার বিষয়ে মুখ খোলেননি। গোটা ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগও উঠেছে সিআরপিএফ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।