পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / bharat

Exam Solver Gang Arrested: নকল পরীক্ষার্থীদের চক্রের হদিশ উত্তরপ্রদেশে, ধৃত 7 - ধৃত 7

টাকার বিনিময়ে পরীক্ষার ব্যবস্থা করে দেওয়ার অভিযোগে উত্তরপ্রদেশে সাতজনকে গ্রেফতার করল এসটিএফ ৷ ধৃতদের মধ্য়ে একজন পুলিশ কনস্টেবল (UP Police Constable) ৷

Exam Solver Gang Arrested
Exam Solver Gang Arrested

By

Published : Jan 19, 2023, 8:25 PM IST

লখনউ (উত্তরপ্রদেশ), 19 জানুয়ারি: একজনের বদলে পরীক্ষা দেবেন অন্যজন ৷ পুরোটাই অর্থের চলবে অর্থের বিনিময়ে ৷ যিনি পরীক্ষা দেবেন, তিনি টাকা নেবেন ৷ আর যিনি টাকা দেবেন, তাঁর চাকরি হবে ৷ উত্তরপ্রদেশে এমন একটি চক্রের হদিশ মিলেছে ৷ ওই রাজ্যের এসটিএফ এই চক্রে জড়িত সন্দেহে সাতজনকে গ্রেফতার করেছে ৷ ধৃতদের মধ্য়ে অযোধ্যায় কর্মরত উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এক কনস্টেবলও রয়েছে ৷

এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি জানুয়ারিতে উত্তরপ্রদেশে পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ সংক্রান্ত একটি পরীক্ষা হয় ৷ সেই পরীক্ষাতেই বেশ কয়েকজন নকল পরীক্ষার্থী হাজির হয়েছিলেন ৷ তাঁদেরই গ্রেফতার করা হয়৷ ধৃতরা বিহার, গোরক্ষপুর ও প্রয়াগরাজের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে ৷

উত্তরপ্রদেশ এসটিএফের এসএসপি বিশাল বিক্রম সিং জানান, গত 10 জানুয়ারি স্টাফ সিলেকশন কমিশন (SSC Exam) রাজ্যের 13টি জেলার মোট 61টি পরীক্ষা কেন্দ্রে জিডি কনস্টেবল পরীক্ষা-2022 পরিচালনা করে । সেই পরীক্ষায় বেশ কয়েকজন নকল পরীক্ষার্থী হাজির হবে বলে জানা যায় ৷ অচ্যূতানন্দ যাদব নামে এক পুলিশ কনস্টেবলও জড়িত রয়েছে বলে জানা যায় ৷ তবে এই চক্রের মাথায় সলমন ও অমিত নামে প্রয়াগরাজের দুই বাসিন্দা রয়েছে বলে জানতে পারে এসটিএফ ৷ এছাড়া গুড্ডু যাদব নামেও আরেকজন জড়িত ৷

এর পরই তদন্তে নামে এসটিএফ ৷ একজন নকল পরীক্ষার্থী-সহ আসল পরীক্ষার্থীকেও গ্রেফতার করা হয় পুলিশের তরফে ৷ এসটিএফ-এর মতে, এই গ্যাংয়ের নেতা কনস্টেবল অচ্যুতানন্দ যাদব (UP police constable was operating solver gang) ৷ তিনি বাঁশগাঁও গোরক্ষপুরের বাসিন্দা ৷ অন্য সদস্যরা হলেন বিবেক, মনোজ ঝা, রাকেশ যাদব ৷ তাঁরা বিহারের বাসিন্দা । শুধু তাই নয়, গোরক্ষপুরের তিনজন মূল প্রার্থীও ছিলেন । কেশভানন্দ, গুড্ডু যাদব, মনোজ যাদবও রয়েছেন । কনস্টেবল অচ্যুতানন্দ বিহার থেকে নকল পরীক্ষার্থীদের খুঁজে বের করতেন ৷ তার পর আসল পরীক্ষার্থীদের থেকে টাকা নিয়ে ওই নকল পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে পাঠানো হত ৷

এসটিএফ জানিয়েছে, এই জালিয়াতি করতে প্রথমে আসল পরীক্ষার্থীদের থেকে অ্যাডমিট কার্ড, আধার কার্ড নেওয়া হত ৷ ছবিও নেওয়া হত ৷ তার পর নকল অ্যাডমিট কার্ড বানিয়ে নকল পরীক্ষার্থীদের হাতে তা দেওয়া হত ৷ সেটা নিয়েই পরীক্ষা দিতে যেতেন তাঁরা ৷ এই কাজের জন্য আসল পরীক্ষার্থীকে 20 হাজার টাকা দিতে হত ৷

আরও পড়ুন:বোরখা পরেছিলেন ! উত্তরপ্রদেশের কলেজে ঢুকতে বাধা ছাত্রীদের

ABOUT THE AUTHOR

...view details