পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / bharat

লকডাউনের অবসর সময়কে সুযোগে পরিণত করলেন রায়পুরের 3 যুবক-যুবতি - নতুন ব্যবসা

করোনার জের পড়েছে ব্যবসায় ৷ বহু লোক কাজকর্ম হারিয়েছেন ৷ অন্যদিকে করোনা এবং লকডাউনের ফলে তৈরি প্রতিকূল পরিস্থিতি মানুষকে নতুন চিন্তাভাবনা করতে উৎসাহিত করেছে ।

three-people-of-raipur-turned-disaster-into-opportunity-through-a-startup-during-corona
লকডাউনের অবসর সময়কে সুযোগে পরিণত করলেন রায়পুরের 3 যুবক-যুবতি

By

Published : May 25, 2021, 3:24 PM IST

রায়পুর (ছত্তিশগড়), 25 মে : করোনার জেরে ধ্বংস হয়ে গেছে ব্যবসা ৷ বহু লোকের কাজকর্ম বন্ধ হয়ে পড়ে আছে ৷ একসঙ্গে অনেকেই কাজও হারিয়েছে ৷ আর করোনা এবং লকডাউনের ফলে তৈরি প্রতিকূল পরিস্থিতি মানুষকে নতুন চিন্তাভাবনা করতে উৎসাহিত করেছে । ইটিভি ভারত এমনই তিনজনের গল্প তুলে ধরল । যাঁরা করোনার মতো বিপর্যয়কে একটি সুযোগে পরিণত করেছেন । ঘরে বসেই এক নতুন ব্যবসা চালু করেছেন তাঁরা ৷ যার মাধ্যমে তাঁরা নিজেদের এবং পরিবারের খরচ বহন করছেন ৷

করোনার মতো বিপর্যয়ের সময়কে সুযোগে পরিণত করেছেন ছত্তিশগড় রায়পুরের এক বেসরকারি স্কুলের শিক্ষিকা কৃতিকা ত্রিবেদী ৷ আর তাই গত 4 মাস ধরে নিজের ঘরে তৈরি করা কেক লোকের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিতে শুরু করেছেন কৃতিকা ৷ যা সবাই পছন্দও করছেন ৷ কৃতিকা ত্রিবেদী তাঁর মা উমা ত্রিবেদীর পরামর্শে, এটিকে একটি স্টার্টআপে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন । গত 4 মাস ধরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিজের বানানো কেক ডেলিভারি করছেন তিনি ৷ যেখানে প্রায় 20 রকম স্বাদের কেক পাওয়া যায় ৷

এমন এক গল্প রায়পুরের ডিডি নগরের বাসিন্দা সংকল্প লেনপালের ৷ তিনি পেশাই মিউজিশিয়ান এবং বিনোদন জগতের সঙ্গে যুক্ত ৷ কিন্তু, লকডাউনের কারণে তাঁর সব কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে ৷ তাই গত এক বছর ধরে ইউটিউব দেখে রান্না শিখেছেন ৷ আর এখন নিজের হোম কিচেন শুরু করেছেন সংকল্প লেনপাল ৷ তিনি নিরামিষ ও আমিষ সবরকমের খাবার বানিয়ে তিনি, হোম ডেলিভারি করেন ৷ গত 3 মাস ধরে নিজের সংকল্প হোম কিচেন চালাচ্ছেন সংকল্প ৷ এখনও পর্যন্ত 50 এর বেশি হোম ডেলিভারি করেছেন তিনি ৷ করোনা পরিস্থিতিতে নিজের রান্নাঘরে পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে নজর রাখেন সংকল্প লেনপাল ৷

রায়পুরের ব্রাহ্মণপাড়ার বাসিন্দা 20 বছরের শ্রেয়া সোনি তাঁর বাবার থেকে 2 হাজার টাকা নিয়ে একটি স্টার্টআপ শুরু করেছিলেন ৷ বর্তমানে সেই ব্যবসার মাসিক টার্নওভার 2 লাখ টাকা ৷ শ্রেয়া সোনির বাবার একটি বাসনের ব্যবসা ছিল এবং লকডাউনের কারণে তাঁর ব্যবসার ক্ষতি হয় ৷ যার পরে শ্রেয়া কেক বানানোর সামগ্রী এবং নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস বাড়ি বাড়ি পৌঁছাতে শুরু করেন । এমনকি অন্যান্য ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীও শ্রেয়া পৌঁছে দেন ৷ বর্তমানে তিনি দিল্লি ও মুম্বইতেও নিজের ব্যবসাকে নিয়ে গিয়েছেন ৷

ABOUT THE AUTHOR

...view details