নয়াদিল্লি, 19 অক্টোবর: এবার কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনেও (Congress President Election) কারচুপি এবং অনিয়মের অভিযোগ উঠল ! ভোটের ফল প্রকাশের ঠিক আগে এই অভিযোগ তুললেন শশী থারুরের (Shashi Tharoor) নির্বাচনী এজেন্ট সলমন সোজ (Salman Soz) ৷
বুধবার এই বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন শশীর নির্বাচনী এজেন্ট ৷ সলমন সোজ বলেন, "কেন্দ্রীয় নির্বাচন কর্তৃপক্ষকে আমরা কোনও প্রেমপত্র পাঠাই না ৷ তাছাড়া, এটি দলের অভ্যন্তরীণ বিষয় ৷ তাই এ নিয়ে বেশি কথাও বলতে চাই না ৷ কিন্তু, আমরা আমাদের উদ্বেগের বিষয়টি কেন্দ্রীয় নির্বাচন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি ৷"
আরও পড়ুন:পরিবর্তন-প্রতিশ্রুতি থারুরের, দলিত খাড়গে গান্ধি-অনুগামী, কার হাতে কংগ্রেস ?
সূত্রের খবর, সামগ্রিকভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত একাধিক বিষয় নিয়ে আপত্তি তুলেছেন শশী থারুর ৷ তাঁর অভিযোগ, দুই প্রার্থীকে ভোটে লড়ার জন্য সমান ক্ষেত্র দেওয়া হয়নি ৷ প্রার্থীদের প্রচারে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কর্তৃপক্ষের আধিকারিকদের বাধা দেওয়া হয়েছে ৷ কিন্তু, কয়েকটি জায়গায় এই আধিকারিকরাই প্রকাশ্যে মল্লিকার্জুন খাড়গেকে সমর্থন করেছেন ৷ আর তাতেই আপত্তি রয়েছে শশী থারুরের ৷
প্রসঙ্গত, সভাপতি নির্বাচনের ফল ঘোষিত হলেই নতুন নেতা পাবে কংগ্রেস ৷ গত প্রায় দু'দশকে এই প্রথমবার গান্ধি পরিবারের বাইরের কোনও ব্যক্তি দলের সর্বোচ্চ নেতার পদে বসবেন ৷ নিয়ম অনুসারে, ভোট গণনার আগেই বিভিন্ন রাজ্য থেকে ব্যালট বাক্স নিয়ে এসে সেগুলি খুলে ফেলা হবে ৷ এবং সমস্ত রাজ্যের ভোট মিশিয়ে ফেলা হবে ৷ তারপর গণনা সেরে ভোটের ফল প্রকাশ্যে আনা হবে ৷
উল্লেখ্য, 1998 সালে সোনিয়া গান্ধি কংগ্রেসের সভানেত্রী পদে বসেন ৷ মাঝে কিছু দিনের জন্য সেই দায়িত্ব সামলান রাহুল গান্ধি ৷ কিন্তু, 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবির পর রাহুল পদত্যাগ করেন ৷ ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, নতুন কংগ্রেস সভাপতির প্রথম এবং প্রধান চ্যালেঞ্জ হল যাবতীয় গোষ্ঠীবিবাদ ঘুচিয়ে দলের সংগঠন মজবুত করা ৷ এটি মোটেই সহজ হবে না বলে মত রাজনৈতিক মহলের ৷