নয়াদিল্লি, 15 জুন :ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকার টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে আজ তৃতীয় দিন ইডির দফতরে হাজিরা দেবেন রাহুল গান্ধি ৷ এর আগে 13 ও 14 জুন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সদর দফতরে গিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা ৷ সোমবার ইডি তাঁকে 10 ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জেরা করে ৷ মঙ্গলবারও দু'দফায় প্রায় 10 ঘণ্টা ধরে সোনিয়া-পুত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি আধিকারিকরা (Rahul Gandhi to appear before ED in National Herald Case for the third consecutive day) ৷
এই জেরার বিরুদ্ধে দিল্লি-সহ দেশজুড়ে আন্দোলনে নামেন কংগ্রেস মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক, নেতা, কর্মীরা ৷ দু'দিন মধ্য দিল্লির রাস্তায় বিক্ষোভে নামেন অশোক গেহলট, মল্লিকার্জুন খাড়গে, ভূপেশ বাঘেল, অধীর রঞ্জন চৌধুরীর মতো বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতারা ৷ পরিস্থিতি সামলাতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে কংগ্রেস কর্মীদের খণ্ডযুদ্ধ বাধে ৷
এক মহিলা কংগ্রেস সাংসদকে পুলিশ টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে, এমন ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা ৷ তিনি লিখেছেন, "মোদি সরকারের ডুবে মরা উচিত ৷ কোনও মহিলাকে এভাবে রাস্তায় টেনে নিয়ে যাওয়া যায় ? কোনও সাংসদের সঙ্গে এমন ব্যবহার করা হয় ? কংগ্রেস কার্যালয়ের বাইরে এ ধরনের লজ্জাজনক ঘটনা মোদি সরকারের কাপুরুষতার পরিচয় ৷" আরেকটি টুইটে তিনি জানান, সোমবার 11 ঘণ্টা ধরে বেআইনি ভাবে প্রায় এক হাজার কংগ্রেস নেতা-নেত্রীকে আটক করে রাখা হয়েছিল ৷ তারপর মঙ্গলবারও 10 ঘণ্টা ধরে বসন্তকুঞ্জ থানা, ফতেহপুর বৈরী থানা, নরেলা থানা, বদরপুর থানা, মন্দির মার্গ থানা, দিল্লির দর্জনো থানায় কংগ্রেসের হাজার কর্মকর্তাদের গ্রেফতার করে রাখা হয়েছে ৷ তাঁর প্রশ্ন, "এঁদের দোষ কী? এই স্বেচ্ছাচারিতা কেন ?"