নয়াদিল্লি, 20 অক্টোবর: 'প্রশ্নের জন্য নগদ' কাণ্ডে নতুন করে অস্বস্তিতে পড়েছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। হিরানন্দানি গোষ্ঠির সিইও হলফনামা দিয়ে জানিয়েছেন, আদানি গোষ্ঠি ও প্রধানমন্ত্রীকে কঠিন প্রশ্নের মুখে ফেলতে টাকা ও অন্য সুবিধা নিয়েছেন মহুয়া। এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এই হলফনামা নিয়ে পাঁচ দফা প্রশ্ন তুললেন সাংসদ। পাশাপাশি তাঁর কটাক্ষ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কোনও নির্বোধ আমলা যিনি একইসঙ্গে বিজেপির আইটি সেলের সৃজনশীল লেখকের ভূমিকা পালন করেন তিনি এই হলফনামার বয়ান তৈরি করেছেন।
দু'পাতার প্রেস বিবৃতির শুরুতেই মহুয়া জানতে চান এই ঘটনার তদন্তে সংসদের এথিক্স কমিটি বা ইডি-সিবিআই দর্শনকে তলব করেনি। তাহলে কাকে হলফনামা দিলেন দর্শন? এমনটা করার দরকারই বা কী ছিল! সাংসদের দাবি, হলফনামাটি কোনও সংস্থা বা ব্যক্তির লেটারহেডে লেখা হয়নি ৷ এমনকী সেই নথিটি নোটারি করার প্রয়োজনও কেউ মনে করেননি ৷ এখানেই সাংসদের প্রশ্ন, দর্শন হিরানন্দানির মতো প্রভাবশালী এবং শিক্ষিত ব্যবসায়ী ঠিক কোন যুক্তিতে সাদা কাগজে হলফনামা জমা দিলেন? বন্দুকের সামনে দাঁড় না করালে দর্শন এমন কাজ করতেন না বলে মনে করেন মহুয়া।
তাঁর পাশাপাশি কীভাবে শশী থারুর এবং রাহুল গান্ধিকেও নিশানা করা হচ্ছে, তা নিয়েও সরব হয়েছেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ। এই ঘটনায় শার্দুল স্রফ নামে এক ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে। দাবি উঠেছে, তিনি সাংসদকে গৌতম আদানির বিরুদ্ধে তথ্য দিয়ে সাহায্য করেছেন। এখানে মহুয়ার দাবি, এই শার্দুলের ভাই শেরিলের সঙ্গে গৌতম আদানির আত্মীয়তার সম্পর্ক আছে। দুই ভাইয়ের মধ্যে অতীতে ব্যবসা সংক্রান্ত গোলমাল বেঁধেছিল। অন্যদিকে সমস্ত নিয়ম-কানুন ভেঙে শেরিল সেবির একটি কমিটির সদস্য হয়েছিলেন। এটা সরাসরি স্বার্থের সংঘাত হলেও কেউ কোনও ব্যবস্থা নেননি। আর এখন সুযোগ পেয়ে বিরোধী সাংসদদের নিশানা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। মহুয়া মনে করেন, অনুসন্ধানমূলক সাংবাদিকতা করে বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরেছেন বলে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে সাংবাদিক সুচেতা দালালকেও।