পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / bharat

Sedition Law : 'সত্যি কথা বলা স্বদেশপ্রেম, দেশদ্রোহিতা নয়', রাষ্ট্রদ্রোহ আইন মুলতুবিকে স্বাগত রাহুলের - Congress MP Rahul Gandhi

বুধবার, 11 মে দেশের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা ঐতিহাসিক রায়ে জানিয়েছেন ব্রিটিশ আমলের রাষ্ট্রদোহ আইনে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা যাবে না ৷ কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি এই রায়কে স্বাগত জানিয়ে টুইট করলে তার পাল্টা দিলেন কিরেন রিজিজু (Rahul Welcomes Sedition Law Hold Order) ৷ কংগ্রেসকে অতীত মনে করতে বললেন তিনি ৷ ৷

Rahul Gandhi and Kiren Rijiju Over Sedition Law
কংগ্রেসের রাহুল বনাম বিজেপির কিরন রিজিজু

By

Published : May 12, 2022, 10:10 AM IST

নয়াদিল্লি, 12 মে :দেশের সর্বোচ্চ বিচারালয় 152 বছরের প্রাচীন এবং ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রদ্রোহ আইন প্রয়োগ স্থগিত রাখার ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে ৷ বুধবার প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা তাঁর নির্দেশে জানিয়েছেন, ব্রিটিশ শাসনধীন ভারতে তৈরি হওয়া এই আইনে নতুন করে কারও বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা যাবে না ৷ কেন্দ্রীয় সরকার ভারতীয় দণ্ডবিধির 124এ ধারা পুনর্বিবেচনা করে সুপ্রিম কোর্টকে জানাবে ৷ জুলাই মাসে পরবর্তী শুনানি ৷ এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি (Law Minister Kiren Rijiju take a jibe at Congress MP Rahul Gandhi over Sedition Law Order) ৷

তিনি টুইট করে লিখেছেন, "সত্যি কথা বলাটা স্বদেশপ্রেম, দেশদ্রোহিতা নয় ৷ সত্য বলা মানে দেশকে ভালবাসা, দেশের বিরোধিতা করা নয় ৷ সত্য শোনা 'রাজধর্ম' ৷ সত্যকে দুমড়ে মুচড়ে শেষ করাটা ঔদ্ধত্য ৷ ভয় পাবেন না ৷" এরপর তাঁকে আক্রমণ করে বিজেপি সরকারের আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু পাল্টা টুইট করে জানান, রাহুলের কথাগুলি আসলে ফাঁকা আওয়াজ ৷ তিনি কংগ্রেসকে 'স্বাধীনতা-বিরোধী' (antithesis of freedom) বলে বিঁধে লেখেন, "দেশে যদি এমন কোনও দল থাকে যা স্বাধীনতার বিপক্ষে, যার কাছে প্রতিষ্ঠানের প্রতি গণতন্ত্র এবং শ্রদ্ধা নেই, তাহলে সেই দলটি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ৷" দেশভাগের কথা উল্লেখ না করেও কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে লেখেন, "এই দল সবসময় দেশের শক্তিকে ভেঙেচুরে দিয়েছে ৷ ভারতকে ভাগ করার কোনও সুযোগ হাতছাড়া করেনি ৷"

আরও পড়ুন : SC puts sedition law on hold: সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেল কেন্দ্র, আপাতত স্থগিত রাষ্ট্রদ্রোহিতা আইন

স্বাধীনতার আগে ব্রিটিশ-বিরোধী আন্দোলনে মহাত্মা গান্ধি এবং অন্য বিপ্লবীদের বিরুদ্ধে অন্যতম অস্ত্র ছিল এই আইন ৷ ব্রিটিশরা দেশ ছাড়লেও সেই আইনে এখনও এফআইআর দায়ের করা হয় এবং অনেকেই বন্দি হয়ে রয়েছেন ৷ সুপ্রিম কোর্টের রায়ে নতুন করে আর একজনকেও 124এ-র আওতায় অভিযুক্ত করা যাবে না ৷ গতকাল দেশের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা, বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চ কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারকে এই নির্দেশ দিয়েছে ৷

বেঞ্চ এও জানিয়েছে, ভবিষ্যতে যদি এরকম কোনও মামলা দায়ের করা হয়, তাহলে অভিযুক্ত আদালতে আবেদন জানাতে পারবে ৷ আদালতও দ্রুত এর নিষ্পত্তি করবে ৷ ইতিমধ্যে যাঁরা ভারতীয় দণ্ডবিধির 124এ ধারায় অভিযুক্ত এবং জেলে বন্দি, তাঁরা আদালতে জামিনের আবেদন জানাতে পারবেন ৷ এই আইনের সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করা হয়েছিল ৷

আরও পড়ুন : Chidambaram and Rijiju on Sedition Law : রাষ্ট্রদ্রোহ আইন নিয়ে বিবাদে জড়ালেন চিদম্বরম, রিজিজু

ABOUT THE AUTHOR

...view details