কেরল, 21 ডিসেম্বর:ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনার সংক্রমণ ৷ শুধুমাত্র কেরলেই 24 ঘণ্টার মধ্যে 300 জন কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ৷ মৃত্যু হয়েছে 3 জনের ৷ এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা 2 হাজার 669 ৷ বৃহস্পতিবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গত 24 ঘণ্টায় কেরলে 300 জন কোভিড-19 সংক্রমিত হয়েছেন ৷ মঙ্গলবারই রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলেও চিন্তার বিশেষ কোনও কারণ নেই ৷ কারণ হাসপাতালগুলি ইতিমধ্যে এই সংক্রমণের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত ৷ ইতিমধ্যে কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্টকে চিহ্নিত করা গিয়েছে ৷ অবশ্য করোনার এই নতুন রূপ নিয়ে চিন্তার কারণ নেই বলে আশ্বস্ত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও ৷
রাজস্থানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডাঃ সুধীর ভাণ্ডারি বলেন, "কোভিডের নতুন সংক্রমণ ধরা পড়ছে ৷ এই নতুন জেএন.1 ভ্যারিয়ান্টটি সংক্রামক ৷ আর এতে আক্রান্ত হলে শরীরে অন্য ভ্যারিয়ান্টগুলির মতো লক্ষণও দেখা যায় ৷ তবে আমাদের অবস্থা এখন অনেকটাই আলাদা ৷ কারণ প্রায় সবাই ভ্যাকসিন নিয়ে নিয়েছে ৷" তাঁরও আশা নতুন করে মারাত্মক হয়ে উঠবে না করোনা।
গত একশো বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে গোটা পৃথিবীকে যে সমস্ত ঘটনা আন্দোলিত করেছে তার মধ্যে অন্যতম করোনার সংক্রমণ ৷ 2020 সালের শুরু থেকেই গোটা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে করোনা ৷ অর্থনীতি থেকে শুরু করে সামরিক শক্তির প্রশ্নে দুনিয়ার তামাম শক্তিধর দেশকেও কার্যত অসহায় দেখিয়েছিল করোনার সামনে ৷ নাগরিকদের অসহায় মৃত্যু দেখছে প্রশাসন। সময় যত এগিয়েছে ততই করোনার নতুন নতুন রূপ প্রাণ কেড়েছে, সর্বস্বান্ত করেছে লক্ষ-কোটি মানুষকে ৷
ধীরে ধীরে করোনার নাগপাশ ছিন্ন করে স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে বসুন্ধরা ৷ এরই মাঝে আরও একবার করোনার আতঙ্ক ফিরছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ৷ নয়া ত্রাসের নাম জেএন.1 ৷ যদিও বিভিন্ন চিকিৎসক সংগঠন থেকে শুরু করে বৈজ্ঞানিক সংগঠনের বড় অংশেরই দাবি আগের রূপগুলির তুলনায় করোনার এই নতুন অবতার ততটা ভয়াবহ নয় ৷ কেউ কেউ বলছেন এই রূপ বেশি সংক্রমণের কারণ হলেও মৃত্যুর হেতু হবে না ৷ শেষমেশ কী হবে, তার উত্তর অবশ্য দেবে সময় ৷
আরও পড়ুন:
- করোনার নয়া রূপ নিয়ে নবান্নে বড় বৈঠক, নির্দেশিকা জারি করতে চলেছে স্বাস্থ্য দফতর
- ফের বাড়ছে করোনা, রাজ্যগুলির জন্য নয়া নির্দেশিকা জারি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের
- করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট জেএন.1, সংক্রমণের হার বেশি হলেও ঝুঁকি কম; মত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার