পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / bharat

Child Sexual Abuse Case: শিশু নিগ্রহের জোড়া মামলায় দোষীকে 30 বছরের সশ্রম কারাদণ্ড

দু'টি পৃথক শিশু যৌন হেনস্থার (Child Sexual Abuse Case) মামলায় দোষী যুবককে সব মিলিয়ে 30 বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের (30 Years of Rigorous Imprisonment) নির্দেশ দিল হায়দরাবাদের আদালত ৷ করা হল 13 হাজার টাকার জরিমানা ৷

Hyderabad Court sentence 30 Years of Rigorous Imprisonment in two different Child Sexual Abuse Case
Child Sexual Abuse Case: শিশু নিগ্রহের জোড়া মামলায় দোষীকে 30 বছরের সশ্রম কারাদণ্ড

By

Published : Oct 1, 2022, 4:03 PM IST

হায়দরাবাদ, 1 অক্টোবর: তিন বছরের পুরনো দু'টি শিশু যৌন হেনস্থার (Child Sexual Abuse Case) মামলায় দোষী ব্যক্তিকে 30 বছরের (দু'টি মামলার সাজা মিলিয়ে) জন্য সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ (30 Years of Rigorous Imprisonment) দিল হায়দরাবাদের আদালত (Hyderabad Court) ৷ একইসঙ্গে ওই ব্যক্তিকে 13 হাজার টাকা জরিমানাও (দু'টি মামলার সাজা মিলিয়ে) করা হয়েছে ৷ আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, সাজাপ্রাপ্ত ওই ব্যক্তির নাম সুশীল কুমার সিং (Sushil Kumar Singh) ৷ বয়স 35 বছর ৷

হায়দরাবাদের একটি সংস্থায় নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করত সুশীল ৷ 2019 সালে রঙ্গারেড্ডি জেলায় দুই শিশুর যৌন হেনস্থা করে সে ৷ সুশীলের বিরুদ্ধে একটি সাত বছরের মেয়ে এবং একটি সাত বছরের ছেলেকে নিগ্রহ করার অভিযোগ ওঠে ৷ দু'টি ঘটনায় আলাদা করে দু'টি মামলা রুজু হয় ৷ এবং দু'টি ক্ষেত্রেই দোষী সাব্যস্ত হয় সুশীল ৷

আরও পড়ুন:ছবির প্রচারে গিয়ে ভক্তদের ভিড়ে যৌন হেনস্থার শিকার 2 জনপ্রিয় অভিনেত্রী

হায়দরাবাদ নগর দায়রা আদালতের বিচারক আর তিরুপতির এজলাসে সাত বছরের বালিকাকে নিগ্রহ সংক্রান্ত মামলাটির শুনানি হয় ৷ সেই ঘটনায় সুশীলকে 20 বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন বিচারক ৷ একইসঙ্গে, দোষী সুশীলকে 10 হাজার টাকা জরিমানাও করেন তিনি ৷ সেইসঙ্গে, জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ (District Legal Services Authority) বা ডিএলএসএ (DLSA)-এর প্রতি বিচারক প্রস্তাব দেন, তারা যেন নিগৃহীতাকে 5 লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বন্দোবস্ত করে ৷ অন্যদিকে, সাত বছরের একটি বালককে নিগ্রহ করার মামলায় সুশীলকে আরও 10 বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় ৷ সেইসঙ্গে, জরিমানা করা হয় 3 হাজার টাকা ৷ সব মিলিয়ে কারাবাসের সময়সীমা হয় 30 বছর ৷

সংশ্লিষ্ট মামলার সরকারি আইনজীবী কোঙ্গারা রাজারেড্ডি জানিয়েছেন, 2019 সালের 29 এপ্রিল এক বালককে নির্যাতন করে সুশীল ৷ এমনকী, সেই ঘটনার পরও ছেলেটিকে নিশানা করে সে ৷ কোঙ্গারা বলেন, স্থানীয় একটি খাদ্য প্রস্তুতকারী সংস্থায় কাজ করত সুশীল ৷ আদতে বিহারের বাসিন্দা ওই যুবক বিবাহিত ৷ তাঁদের নিজেদের তিন সন্তান রয়েছে ৷ কর্মসূত্রে হায়দরাবাদে থাকাকালীন একটি ঘর ভাড়া নিয়েছিল সুশীল ৷ সেখানে একাই থাকত সে ৷ সেই সময়েই পর পর দু'টি শিশুর সঙ্গে এই দুষ্কর্ম করে সুশীল ৷

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, 2019 সালে হায়দরাবাদে থাকাকালীন মাঝেমধ্য়েই মদ্যপান করে ঝামেলা অশান্তি করত সুশীল ৷ সেই সময়ে অর্থাৎ 2019 সালের 4 মে এলাকার একটি বাচ্চা মেয়েকে নিগ্রহ করে সুশীল ৷ পরে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সুশীলকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ জানা যায়, আগেও একটি বালকের সঙ্গে একই কাণ্ড ঘটিয়েছে ওই নিরাপত্তারক্ষী ৷ পকসো-এর আওতায় তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয় ৷

ABOUT THE AUTHOR

...view details