রাজকোট (গুজরাত), 17 নভেম্বর: গুজরাতের রাজনীতিতে (Gujarat Assembly Elections) রাজকোট হল 69 তম আসন যা বিজেপির জন্য সবচেয়ে নিরাপদ ৷ এই আসনের প্রতি গেরুয়া শিবিরে আস্থা সর্বাধিক ৷ এই আসনে রয়েছে মোট ছয়টি ওয়ার্ড । আসনটি রাজকোট পশ্চিম আসন নামেও পরিচিত । এ বার এই আসন থেকে এক মহিলা প্রার্থীকে দাঁড় করিয়েছে বিজেপি । ডা. দর্শিতা শাহ । তিনি রাজকোটেরই বাসিন্দা ৷ মেয়র হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন । আর পতিদার পক্ষের কথা মাথায় রেখে এই আসনে মনসুখ কালারিয়াকে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস । এ আসনের ইতিহাস থেকে বলা যায়, এই অঞ্চলের মানুষ জাতি-ধর্ম-বর্ণকে পাশে রেখে ক্ষমতায় থাকা দলের উপরই আস্থা রাখতে অভ্যস্ত ৷ শুধু তাই নয়, এই আসনে জয়ী প্রার্থী বরাবর সরকারে বড় পদ পেয়েছেন, এমনকী হয়েছেন প্রধানমন্ত্রীও (Narendra Modi)৷
সৌরাষ্ট্রের রাজনৈতিক চিত্রের দিকে তাকালে দেখা যাবে, এ বার ভোটযুদ্ধ থেকে ছিটকে পড়েছেন বেশ কয়েকজন শক্তিশালী নেতা । কোনও শীর্ষ নেতা ক্ষমতার লড়াইয়ে নেই । এখন যদি মানুষের মেজাজ বদলায়, তবে এ বার এই আসনে নতুন ছবি দেখা যেতে পারে । অন্যদিকে, ভাজুভাই এই আসনে তাঁর কাছের একজনের টিকিটের জন্য আবেদন করেছিলেন । যাঁর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে বলে দাবি করেছিল বিজয় রূপানি গোষ্ঠী ৷ সেই বিষয়টিও এ বারের ভোটে প্রভাব ফেলতে পারে ৷ কিন্তু বাস্তব হল, এই দুই নেতা রাজনৈতিক মঞ্চে একে অপরের সামনে হাসিমুখ রাখলেও ভেতরে ভেতরে ফাটল ধরেছে । এখন এই ফাটল বড় হবে নাকি নতুন অধ্যায় লেখা হবে, সেটা জনগণই ঠিক করবে ।
অরবিন্দ মানিয়ার, প্রয়াত চিমন শুক্লা, এরপর ভাজুভাই ভালা, বিজয় রূপানি গত দুই মেয়াদে রাজকোট শহরের রাজনৈতিক ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোট পাওয়ার রেকর্ড তৈরি করেছেন । রাজকোট থেকেই রাজনীতির রণাঙ্গনে প্রবেশ করেন নরেন্দ্র মোদি, যিনি বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন । সেই সময়ে ভাজুভাই তাঁর আসনটি ছেড়ে দিয়েছিলেন এবং নরেন্দ্র মোদি সেই আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং প্রথমবারের মতো বিধানসভার দরজায় পৌঁছেছিলেন । এই আসনে জাতপাতের প্রচারকারী দলের শক্তি বেশি । সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও লক্ষণীয় বিষয় হল, এই আসনে যিনি জয়ী হয়েছেন বরাবর তিনি পেয়েছেন সরকারের বড় পদ । শুধু তাই নয়, উল্লেখযোগ্য পদের পাশাপাশি মিলেছে অনেক বড় মর্যাদা, যেমন রূপানি ও ভালা ।