মুম্বই, 10 অক্টোবর:সোমবার সারা দুনিয়ায় পালিত হল বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস (World Mental Health Day) ৷ ওয়াকিবহাল মহল বলে, স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকতে শুধুমাত্র শারীরিক সুস্থতাই যথেষ্ট নয় ৷ তার জন্য মানসিক সুস্থতাও একান্তই জরুরি ৷ অথচ, আজও এ নিয়ে আমাদের সমাজে অনেক ছুঁৎমার্গ রয়েছে ৷ অন্যদিকে, রোজের জীবনে চাপ বেড়েছে মারাত্মক ৷ ফলে মানসিক অসুস্থতা বাড়লেও তা নিয়ে অধিকাংশ মানুষই খোলামেলা আলোচনায় নারাজ ৷ বিশেষজ্ঞরা বলেন, এটাও এক ধরনের সামাজিক ব্যধি ৷ সামগ্রিকভাবে এই ধরনের সমস্যা নিয়ে বলিউডে একাধিক সিনেমা (Bollywood Movies) হয়েছে ৷ তাদের মধ্যে অন্যতম-
এই ছবির মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন আলিয়া ভাট ও শাহরুখ খান ৷ গল্পে দেখা যায়, জীবনের লক্ষ্য খুঁজতে গিয়ে কার্যত হারিয়েই যান পেশায় কোরিয়োগ্রাফার কায়রা (আলিয়া ভাট) ৷ পরবর্তীতে সেই তরুণীই বাঁচার আনন্দ খুঁজে পান এক মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সহযোগিতায় ৷ সেই ভূমিকায় অভিনয় করেন শাহরুখ ৷
আরও পড়ুন:বিগ বস থেকে সাজিদকে বের করুন ! মন্ত্রীকে চিঠি দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রধানের
এই ছবির নির্দেশক ছিলেন নীতেশ তিওয়ারি ৷ মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত, শ্রদ্ধা কাপুর এবং বরুণ শর্মা ৷ কাহিনির সূত্রপাত সদ্য ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করা এক তরুণের আত্মহত্যার চেষ্টাকে কেন্দ্র করে ৷ সেই তরুণ আদতে প্রবীণ বয়সে পৌঁছে যাওয়া সুশান্তের ছেলে ৷ কীভাবে ছেলের আত্মবিশ্বাস ফেরালেন সেই বাবা, সেটাই হল সিনেমার মোদ্দা কথা ৷
এই ছবির গল্প লিখেছিলেন অমোল গুপ্তে ৷ পরিচালনায় ছিলেন আমির খান ৷ মানসিকভাবে বাকিদের থেকে অনেকটাই আলাদা এক বালকের লড়াই ছিল এই ছবির বিষয় ৷ সেই ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন দরশিল সাফারি ৷ অভিনয় করেন আমির নিজেও ৷
ছবির মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া এবং রণবীর কাপুর ৷ ছবিতে তাঁরা দু'জনেই ব্যক্তিগত কারণে আত্মহননের চেষ্টা করেন ৷ পরে অবশ্য দু'জনের মুখে শোনা যায় জীবনের জয়গান ৷
এই ছবির নির্দেশক ইমতিয়াজ আলি ৷ মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেন রণবীর কাপুর ও দীপিকা পাডুকোন ৷ এই গল্প বেদ নামে এক তরুণের ৷ যে অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে ৷ সমাজ যখন তাকে নিখুঁত করে গড়ে তুলতে উঠে-পড়ে লেগেছে, ঠিক সেই সময়েই নিজের মনের কথা শুনে এগিয়ে চলেছে বেদ ৷ এই ছবি বুঝিয়ে দেয়, সমাজের ভূরি ভূরি চাহিদা ও দাবি একজন মানুষের মানসিক স্থিরতা কীভাবে নষ্ট করে !
