হায়দরাবাদ, 22 জুন : মঙ্গলবারই কয়েকজন দলীয় বিধায়ককে নিয়ে বিজেপি শাসিত গুজরাতের সুরাতে চলে গিয়েছিলেন একনাথ শিন্ডে ৷ বুধবার সেখান থেকে গুয়াহাটি গিয়েছেন মহারাষ্ট্রের 'বিক্ষুব্ধ' নেতা (Eknath Shinde denies to quit Shiv Sena) । তাঁর সঙ্গে থাকা বিধায়কের সংখ্যা উত্তরোত্তর বেড়েছে, একইসঙ্গে বদলেছে রাজনৈতিক সমীকরণও । গোটা ঘটনায় শিন্ডে একবারও বলেননি, তিনি এবং তাঁর 'বন্ধুরা' বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন । বরং প্রয়াত বালাসাহেব ঠাকরের থেকে হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির আদর্শকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে । মহারাষ্ট্রের বিক্ষুব্ধ নেতা যেন হাবেভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি পদ্ম-শিবিবের সঙ্গে সমঝোতার পথই প্রশস্ত করছেন (Eknath Shinde changed the game in Maharashtra Politics) ।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিন্ডের হাতে এখন যা সমর্থন রয়েছে, তাতে আরব সাগরের তীরে 'তখত' বদল কার্যত সময়ের অপেক্ষা । যদিও আরেক পক্ষের দাবি, অঙ্ক এখনও জটিল । ফলে মহারাষ্ট্রে এখন উভয় সংকট । শুধু উদ্ভব ঠাকরে, শরদ পাওয়াররা নন, রীতিমতো চাপে রয়েছেন 'বিদ্রোহী' শিন্ডেও । রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, শিন্ডে শুধু তাঁর বিধায়ক পদকে নয়, ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছেন তাঁর সঙ্গে থাকা অন্যান্য বিধায়কদের রাজনৈতিক ভবিষ্যতকেও । ইতিমধ্যেই শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউতও দাবি করেছেন, বিধায়করা তাঁদের সঙ্গেই রয়েছেন । তাঁরা মুম্বই ফিরছেন । ফলে শিন্ডে শেষ পর্যন্ত এই বিধায়কদের সমর্থন পেতে ব্যর্থ হলে তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ারও প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে ।
এই সম্ভাবনা আরও খানিক উস্কে দিয়েছে দলত্যাগ বিরোধী আইন । এই আইনের অধীনে, বিধায়করা বিভিন্ন পরিস্থিতিতে দল পরিবর্তন করতে পারেন । কিন্তু একজন স্বাধীন ভাবে নির্বাচিত সদস্য দায়িত্ব নেওয়ার ছয় মাসের মধ্যে কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দেন, তাহলে তিনি সেই সদস্য পদের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন । কক্ষের প্রিসাইডিং অফিসার, এই ধরনের পরিস্থিতিতে, সেই সদস্যের সদস্যপদ বাতিল করার ক্ষমতার অধিকারী । তবে নির্বাচিত সদস্যদের মধ্যে 2/3 জন দল পরিবর্তন করলে তাঁদের সদস্যপদ বাতিল হয় না ।