মুম্বই, 6 মার্চ: হিরেন মনসুখ মৃত্য়ুরহস্যে নয়া মোড় ৷ মৃত্য়ুর আগে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং মুম্বই পুলিশের প্রধানকে লেখা চিঠিতে হয়রানির অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি ৷ হিরেনের দাবি ছিল, তাঁকে লাগাতার হেনস্থা করছে পুলিশ ও সংবাদমাধ্যম ৷ এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পরই নড়েচড়ে বসেছে মহারাষ্ট্র সরকার ৷ ঘটনার তদন্তভারত হাতে নিয়েছে এটিএস (সন্ত্রাসদমন শাখা) ৷ শনিবার একথা জানান, মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ ৷
উল্লেখ্য়, দিন কয়েক আগেই মুম্বইয়ে শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় একটি গাড়ি ৷ পরে সেই গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর বিস্ফোরক ৷ ঘটনার দায় স্বীকার করে জইশ-উল-হিন্দ নামে একটি অনামী জঙ্গি সংগঠন ৷
ঘটনার তদন্ত এগোতে জানা যায়, বিস্ফোরকবোঝাই ওই গাড়ির মালিক 45 বছরের হিরেন মনসুখ ৷ গাড়ির যন্ত্রাংশের ডিলারশিপ রয়েছে তাঁর ৷ ঘটনাপ্রবাহ বদলে যায় গত শুক্রবার ৷ থানের রেতি ভাণ্ডার এলাকা থেকে হিরেনের দেহ উদ্ধার করে নওপাড়া থানার পুলিশ ৷ পরিবারের দাবি ছিল, বৃহস্পতিবার রাত থেকেই নিখোঁজ ছিলেন হিরেন ৷
আর এখন জানা যাচ্ছে, মৃত্য়ুর আগেই রাজ্য় প্রশাসনের শীর্ষ ব্য়ক্তিকে চিঠি লিখে তাঁর দুর্দশার কথা জানিয়েছিলেন হিরেন ৷ চেয়েছিলেন পুলিশের নিরাপত্তা ৷ শনিবার এই প্রসঙ্গে মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বিস্ফোরকবোঝাই গাড়ির আসল মালিক হিরেন নন ৷ তিনি শুধুমাত্র গাড়ির ভিতরের সাজসজ্জা পরিবর্তন করেছিলেন ৷ কারণ, গাড়ির যন্ত্রাংশের ডিলারশিপ ছিল হিরেনের ৷ আদতে গাড়ির মালিক স্য়াম মুতেব নামে এক ব্যক্তি ৷ কিন্তু তাঁর কাছ থেকে কাজের পারিশ্রমিক না পেয়ে গাড়িটি নিজের কাছে রেখে দেন হিরেন ৷ পরে সেই গাড়িটিই চুরি হয়ে যায় ৷ পুলিশের কাছে এ নিয়ে অভিযোগও দায়ের করেন হিরেন ৷
এদিকে, গত শুক্রবার হিরেনের দেহ উদ্ধারের পর থেকেই তাঁর মৃত্য়ুর কারণ খুঁজতে ব্য়স্ত পুলিশ ৷ তাদের হাতে একটি সিসিটিভি ফুটেজও এসেছে ৷ যেখানে হিরেনকে তাঁর বাড়ি থেকে বেরোতে দেখা যাচ্ছে ৷ এই ফুটেজটি গত বৃহস্পতিবারের ৷