নয়াদিল্লি, 15 জুন : বিদ্রোহ হয়েছিল গতকাল, সোমবার ৷ আর 24 ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই লোক জনশক্তি পার্টির সভাপতির পদ থেকে আপসারণ করা হল চিরাগ পাসওয়ানকে ৷ দলের বিদ্রোহী সাংসদরা জরুরি বৈঠক করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে খবর ৷
2000 সালের 28 নভেম্বর এই দল তৈরি করেছিলেন রামবিলাস পাসওয়ান ৷ তিনিই ছিলেন এই দলের সভাপতি ৷ তাঁর মৃত্যুর কিছুদিন আগেই ছেলে চিরাগ লোক জনশক্তি পার্টি বা এলজেপি-র সভাপতি হন ৷ কিন্তু গতকাল থেকে তাঁর নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন দলেরই সাংসদরা ৷
লোকসভায় এলজেপির সাংসদ সংখ্যা ছয় ৷ সেই তালিকায় রয়েছেন চিরাগও ৷ কিন্তু সোমবারের বিদ্রোহে সামিল হন, তিনি ছাড়া আর বাকি পাঁচজন সাংসদ ৷ তাঁর বদলে তাঁর কাকা পশুপতি কুমার পারশকে লোকসভায় পরিষদীয় নেতা হিসেবে বেছে নেওয়া হয় ৷
আরও পড়ুন :Akhilesh Yadav: নজরে উত্তরপ্রদেশের ভোট, অখিলেশ শরণে মায়াবতীর দলের 9 বিধায়ক
এবার তাঁকেই দলের সর্বোচ্চ পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল ৷ আপাতত এলজেপির কার্যনির্বাহী সভাপতির পদ সামলাবেন সুরজ ভান ৷ দলের কার্যকরী সমিতির বৈঠকে পরবর্তী সভাপতি নির্বাচন করা হবে ৷
সূত্রের খবর, এই সপ্তাহের মধ্যে পশুপতি কুমার পারস দলে নিজের আধিপত্য পুরোপুরি বিস্তার করতে চাইছেন ৷ তাঁর পরের লক্ষ্য দলের সংসদীয় বোর্ডের প্রধানের পদ থেকে চিরাগ পাসওয়ানকে সরিয়ে দেওয়া ৷
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন যে এলজেপির এই বিদ্রোহের পিছনে কলকাঠি নাড়ছেন স্বয়ং বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ৷ আর এতে বিজেপির পুরোপুরি ইন্ধন রয়েছে ৷ এর কারণ, গত বছর বিহার বিধানসভা নির্বাচনে চিরাগের এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত ৷ তখন থেকেই বিদ্রোহের আগুন জ্বলতে শুরু করেছে ওই দলের অন্দরে ৷
আরও পড়ুন :Chirag Paswan : লোকসভায় চিরাগের সঙ্গ ছাড়তে চেয়ে অধ্যক্ষকে চিঠি পাঁচ এলজেপি সাংসদের
সূত্রের খবর, এলজেপি যদি আবার এনডিএ-তে সামিল হতে চায়, তাহলে আগে চিরাগকে দল থেকে সরাতে হবে, এই বার্তা পশুপতি কুমার পারসের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল আগেই ৷ সেই পথে এগোচ্ছে সবকিছু ৷
নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভায় 2014 সাল থেকে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন রামবিলাস পাসওয়ান ৷ তাঁর প্রয়াণ এবং এলজেপির এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে আসা, পুরো প্রক্রিয়াতে এখন আর ওই দলের কেউ মন্ত্রী নেই ৷ সামনেই মোদি ক্যাবিনেটে রদবদল হতে পারে ৷ এই পরিস্থিতিতে এলজেপি এনডিএ-তে সামিল হলে চিরাগের কাকার মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল ৷