পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / bharat

বিধায়কের ইস্তফায় বদলাচ্ছে সমীকরণ, চাপ বাড়ছে কমল নাথের

চাপে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ ৷ কারণ, নিজের দলের এক বিধায়ক ইস্তফা দিয়েছেন ৷ কংগ্রেসের অভিযোগ, বিধায়কের ইস্তফার পিছনে BJP-র হাত রয়েছে ৷ কংগ্রেস-JDU জোটের কয়েকজন বিধায়ককে নিজেদের দলে টেনে কর্নাটকে সরকার ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল BJP-র বিরুদ্ধে ৷ কংগ্রেসের অভিযোগ, মধ্যপ্রদেশের ক্ষেত্রেও একই কৌশল নিয়েছে গেরুয়া শিবির ৷

Kamal Nath
ছবি

By

Published : Mar 6, 2020, 9:23 AM IST

ভোপাল, 6 মার্চ : মধ্যপ্রদেশের সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে BJP শিবির ৷ কংগ্রেসের বিধায়কদের দল থেকে ভাঙিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে তারা ৷ এই অভিযোগ আগেও করেছিলেন কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং ৷ সেই জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিল এক কংগ্রেস বিধায়কের ইস্তফা ৷ কমল নাথের যে চার বিধায়ককে দল থেকে ভাঙিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল, তাঁদেরই এক বিধায়ক, হরদীপ দাঙ ইস্তফাপত্র বিধানসভার স্পিকার এন পি প্রজাপতির কাছে জমা দিয়েছেন ৷ স্পিকারের কাছে পাঠানো ওই পত্রে তিনি জানিয়েছেন, এই নিয়ে দ্বিতীয়বার সাধারণ মানুষ তাঁকে ভোটে জিতিয়েছেন ৷ অথচ বার বার দল তাঁকে উপেক্ষা করে আসছে ৷ এই সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত ৷ সরকারের কোনও মন্ত্রীই কাজ করতে চায় না ৷

মধ্যপ্রদেশের কমল নাথের সরকারকে ভেঙে ফেলতে কংগ্রেস ও বেশ কয়েকজন নির্দল বিধায়ককে ভাঙিয়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল BJP-র বিরুদ্ধে ৷ বিধায়কদের সেই তালিকায় ছিল হরদীপ দাঙের নামও ৷ হরদীপ দাঙের এই ইস্তফা আদতে BJP শিবিরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকেই স্বীকৃতি দিচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ ৷

দিন কয়েক আগেই গুরুগ্রামের একটি হোটেল এক সঙ্গে দেখা গেছিল কংগ্রেসের কয়েকজন বিধায়ককে ৷ তা নিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর ৷ কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ ছিল, তাদের বিধায়কদের জোর করে ওই হোটেল আটকে রেখেছিল BJP ৷ তবে গুরুগ্রামের সেই হোটেল থেকে তাদের ছয় বিধায়ককেই উদ্ধার করে আনা হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিল কংগ্রেস শিবির ৷

ছয় বিধায়ককে উদ্ধার করা গেলেও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না কংগ্রেসের তিন বিধায়ক হরদীপ দাঙ, রঘুরাজ কানসানা, বিসাহুলাল সিংসহ শেরা ভাইয়া নামের এক নির্দল বিধায়কের ৷ গুজব রটেছিল, তাদের কর্নাটকের এক বিলাসবহুল হোটেলে রেখে দেওয়া হয়েছে ৷ প্রসঙ্গত, গতবছর কর্নাটকে JDU ও কংগ্রেস জোটের 15 বিধায়ককে এই ভাবেই ভাঙিয়ে নিজেদের দলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল BJP-র বিরুদ্ধে ৷

বিধায়ক হরদীপ দাঙের ইস্তফাপত্রের বিষয়ে কমল নাথকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, "ইস্তফার খবর পেয়েছি ৷ তবে তাঁর চিঠি এখনও পাইনি ৷ তাঁর সঙ্গে এখনও কথাও হয়নি এই বিষয়ে ৷ তাঁর সঙ্গে দেখা না করে এই বিষয়ে মন্তব্য করা উচিত হবে না ৷"

কিছুদিন আগেই কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং অভিযোগ করেছিলেন, BJP নেতা নরোত্তম মিশ্রের সঙ্গে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান মিলে বিধায়ক ভাঙানোর পরিকল্পনা করছেন ৷ এক এক জন কংগ্রেস বিধায়ককে 25-35 কোটি টাকা করে দেওয়ার প্রলোভনও দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ ছিল তাঁর ৷

230 আসন বিশিষ্ট মধ্যপ্রদেশের বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য দরকার 116 টি আসন ৷ বর্তমানে কমল নাথের সরকারের হাতে রয়েছে 120 জন বিধায়ক ৷ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে যতজন বিধায়ক দরকার, তার থেকে চারজন বেশি ৷ এদের মধ্যে 114 জন রয়েছেন কংগ্রেসের ৷ দু'জন রয়েছেন BSP-র ৷ সমাজবাদী পার্টির রয়েছেন একজন বিধায়ক ৷ এছাড়াও চার নির্দল বিধায়কের সমর্থন রয়েছে কমল নাথের সঙ্গে ৷ অন্যদিকে BJP শিবিরের হাতে রয়েছে 107 জন বিধায়ক ৷ দু'টি আসন বর্তমানে ফাঁকা রয়েছে ৷ যদি বাকি তিন বিধায়কও ইস্তফা দিয়ে দেন, তবে বিধানসভার আসন সংখ্যা কমে হবে 224 ৷ আর তখন সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য দরকার হবে 113 টি আসন ৷

ABOUT THE AUTHOR

...view details