দিল্লি, 26 জুন : আগামী সোমবার তিন দিনের রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। চলতি মাসে লাদাখ সীমান্তে ভারত ও চিনের বাহিনীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর দিল্লি এই সফরের দিকে তাকিয়ে আছে একটি বিশেষ উদ্দেশ্যে। আর তা হল এই আবহে ভূমি থেকে আকাশ দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা S-400 Triumf-কে মস্কো থেকে আরও দ্রুত ভারতে আনার চেষ্টা।
দিল্লিতে ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বার্ষিক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের মাঝে ৫৪০ কোটি ডলারের এই ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তিতে সই করেছেন।
২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে মার্কিন প্রশাসনের কাউন্টারিং আমেরিকা’স অ্যাডভারসারিস থ্রু স্যাংশানস অ্যাক্ট (CAATSA)-র প্রয়োগের পরই S-400 ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তির বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা শুরু হয়। রাশিয়া, ইরান ও উত্তর কোরিয়ার সামরিক সংস্থাগুলির সঙ্গে যে সব রাষ্ট্র চুক্তি করে, তাদের নিশানা করে CAATSA। মস্কোর উপর মার্কিন সেনেটরদের একটি দল CAATSA প্রয়োগ করে। তাঁদের অভিযোগ ছিল, রাশিয়া ইউক্রেন ও সিরিয়ার যুদ্ধে অযাচিত ভাবে নাক গলাচ্ছে। তাঁরা ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও রাশিয়ার নাক গলানোর অভিযোগ করেছেন।
এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা প্রাথমিকভাবে ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের এপ্রিলের মধ্যে ভারতে আসার কথা ছিল। কিন্তু, চলতি বছরের গোড়ায় নয়াদিল্লির রুশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ভারতে আসতে আসতে অন্তত ২০২৫ সাল হবে। এই দেরির কারণ হিসাবে বলা হয়, সমগ্র বিশ্বে এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার চুক্তিমূল্য ১৬০০ কোটি ডলার পেরিয়ে গিয়েছে।
কিন্তু ভারত ও চিনের মধ্যে বেড়ে চলা সঙ্কট এবং চলতি মাসে লাদাখ সীমান্তে দুই দেশের সেনার মধ্যে সংঘর্ষের পর ২০ ভারতীয় সেনার মৃত্যুর পর দিল্লি চাইবে যত দ্রুত সম্ভব রাশিয়া থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এনে নিজেদের অস্ত্রাগার শক্তিশালী করতে। সোমবারের মস্কো সফরের আগে রাজনাথ টুইট করেন, “ইন্দো-রুশ প্রতিরক্ষা ও স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপকে আরও মজবুত করবে আমার এই সফর।”