দিল্লি, 25 সেপ্টেম্বর : কৃষি বিলের বিরোধিতায় পথে নেমেছে একাধিক কৃষক সংগঠন । পঞ্জাব সহ একাধিক রাজ্যে চলছে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ । এরই মাঝে আজ নরেন্দ্র মোদি বলেন, নতুন কৃষি বিলের ফলে দুর্নীতি বন্ধ হবে । কৃষকদের উন্নয়নের লক্ষ্যেই এই বিল আনা হয়েছে ।
কৃষি বিলের বিরুদ্ধে পঞ্জাবে তিনদিনের রেল রোকো কর্মসূচির ডাক দিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি । কয়েকটি কৃষক সংগঠনের ডাকে চলছে ভারত বনধ । অমৃতসর-দিল্লির মাঝে জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়েছে । কর্নাটক সহ অন্য রাজ্যেও বিক্ষোভ চলছে । এরই মাঝে আজ দীনদয়াল উপাধ্যায়ের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে কৃষকদের উদ্দেশে বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । তাঁর দাবি, কৃষি বিল নিয়ে কৃষকদের ভুল বোঝানো হচ্ছে । কৃষকদের স্বার্থেই বিল পাশ হয়েছে ।
দীর্ঘসময় ধরে দুর্নীতির শিকার হয়েছেন কৃষকরা । বলেন, "কৃষক ও শ্রমিকরা পুরোনো আইনের জাল কোনওদিন বুঝতে পারেনি । কিন্তু BJP সরকার সবসময় এই পরিস্থিতি পালটাতে চেয়েছে । কৃষকদের স্বার্থে প্রতিনিয়ত সংস্কারের কাজ করেছে ।"
তিনি বলেন, শেষ কয়েক বছরে NDA সরকার কৃষকদের ব্যাঙ্কের সঙ্গে যুক্ত করার চেষ্টা করেছে । 10 কোটির বেশি কৃষককে 1 লাখ কোটির বেশি টাকা দেওয়া হয়েছে । কৃষকরা যাতে সহজেই ঋণ নিতে পারে তার চেষ্টা করেছে সরকার ।
কৃষি বিল পাশ হওয়ার পরই সংসদে বিক্ষোভ দেখায় বিরোধীরা । আর তার পর থেকে পথে নেমেছে একাধিক রাজনৈতিক দল ও কৃষক সংগঠন । আজ ডাক দেওয়া হয়েছে ভারত বনধের । অভিযোগ, নতুন কৃষি বিলে কৃষকদের স্বাধীনতা খর্ব হবে । এই বিল কৃষক বিরোধী । শ্রম বিল নিয়েও একইভাবে সরব হয়েছে বিরোধীরা । এমনকী সংঘ পরিবার প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠন শ্রম বিলের বিরোধিতা করেছে । কৃষি বিলের বিরোধিতা করেছে BJP-র শরিক শিরোমণি আকালি দলও । আজ বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে বিরোধীদেরও নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী । তাঁর কথায়, কৃষি বিল নিয়ে বিরোধীরা ভুল বোঝাচ্ছে । এই বিল কৃষকদের স্বার্থেই । কৃষকদের উন্নয়নের কথা মাথায় রেখেই এই বিল আনা হয়েছে । সবাইকে আত্মনির্ভর করাই সরকারের লক্ষ্য ।
তিনি বলেন, কৃষকদের কাছে গিয়ে এই বিল সম্পর্কে বোঝাতে হবে BJP কর্মীদের । বলেন, "প্রত্যেক BJP কর্মীকে মাঠে নেমে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলতে হবে । খুব সহজ ভাষায় নতুন বিল সম্পর্কে বোঝাতে হবে । ভার্চুয়াল দুনিয়ায় যে গুজব ও মিথ্যে রটানো হচ্ছে তা বন্ধ করবেই BJP । "
শ্রম বিল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা, শ্রম সংস্কার শ্রমিকদের সাহায্য করবে । এতদিন দেশের 30 শতাংশ শ্রমিক ন্যূনতম মজুরি গ্যারান্টি স্কিমের আওতায় পড়ত । এখন অসংগঠিত ক্ষেত্রেও কর্মীরা এই স্কিমের আওতায় পড়বে ।