উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস থেকে দূরে সরে যাওয়া ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়কে সচল করার ক্ষেত্রে আপনার প্রয়াসের কেমন সাড়া পাচ্ছেন ?
আমরা খুব ভালো সাড়া পাচ্ছি । বছর কয়েক আগে ব্রাহ্মণ চেতনা পরিষদের উদ্যোগে চালু হওয়া এটা একটা নির্দলীয় উদ্যোগ । আমি ওই সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে মিটিং করেছি । লকডাউনের সময় কুড়িটি জেলা ভ্রমণ করেছি । তাদের সম্প্রদায়ের উপর ক্রমবর্ধমান হামলার ঘটনায় তারা উদ্বিগ্ন এবং তাদের ধারণা, তাদের সম্প্রদায়ের উপর পক্ষতাপমূলক পদক্ষেপ করা হচ্ছে । আমি বলছি না এটা সরকারের মদতপুষ্ট, কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে আক্রান্তরা হচ্ছেন ব্রাহ্মণ । অপরাধ সংক্রান্ত নথিতেই এটা প্রমাণিত । একটা উদাহরণ । উত্তরপ্রদেশের পশ্চিম প্রান্তের মইনপুরিতে নবোদয়া বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে অপহরণ এবং খুনের কথা বলা যায় । এই ঘটনায় জেলা শাসক এবং পুলিশ সুপারকে বদলি করা হয়েছে, কিন্তু কোনওরকম শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা হয়নি । আমি সেই পরিবারটির সঙ্গে দেখা করি এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢ়রা মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন । উত্তরপ্রদেশের পূর্ব প্রান্তের বস্তি জেলায় কবীর তেওয়ারি নামে এক যুবক খুনের ঘটনার কথাও বলতে হয় । তার পরিবার এখনও আতঙ্কে । এমন একাধিক ঘটনা সামনে আসছে ঝাঁসি, ইটাওয়া, সুলতানপুর থেকে ।
আপনার এই উদ্যোগের মাধ্যেমে আপনি কী করতে চাইছেন ?
আমার উদ্দেশ্য এই সম্প্রদায়কে জোটবদ্ধ করা এবং তাদের একটি প্ল্যাটফর্ম দেওয়া ।আমি অনলাইনের মাধ্যমে আলোচনা করেছি এবং জেলা স্তরে 30 টি বক্তব্য রেখেছি । বাকি থাকা জেলাগুলিতে আগামী মাসেই মিটিং করা হবে । এই সম্প্রদায়ের মানুষ নিজেদের অনাথ বোধ করছিলেন । আমি তাদের আশ্বস্ত করেছি এই বলে যে, লখনউ বা দিল্লিতে কেউ তাদের কথা শুনবেন । আজ এই সম্প্রদায় দুষ্কৃতী হিসেবে চিত্রিত হচ্ছে, যা কোনওভাবেই সঠিক নয় । জনসমর্থন ছাড়া কোনও কিছু দুই মাসও স্থায়ী থাকতে পারে না ।
আপনার কার্যকলাপটি অরাজনৈতিক হিসেবে বর্ণনা করছেন, কিন্তু অনেকেই এর মধ্য রাজনৈতিক অভিসন্ধি খুঁজে পাচ্ছেন । কী বলবেন ।
দেখুন, আমি কখনই নিজেকে উত্তরপ্রদেশের ব্রাহ্মণ নেতা হিসেবে তুলে ধরিনি । তবে এটাও সত্যি যে, কোনও রাজনৈতিক নেতার যে কোনও পদক্ষেপই রাজনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবেই বিবেচিত হয় । তবে এটা অরাজনৈতিক এবং ভোটের জন্য নয় । আমরা কাজ করছি ব্রাহ্মণ চেতনা পরিষদের ছাতার তলায় । কাউকে অধিকারচ্যুত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, বরং আমাদের লড়াই এই সম্প্রদায়ের স্বার্থ রক্ষা করায় । এরা এই রাজ্যের এই সম্প্রদায়ের এক প্রতিনিধি মাত্র ।
2017 সালে দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করা হলেও, এ রাজ্য থেকে দশ শতাংশ ব্রাহ্মণের ভোটও তিনি পাননি। 2022 সালে দল কি এখান থেকে কাউকে প্রার্থী করবে ?