নয়াদিল্লি, 5 ডিসেম্বর:2021-22 আর্থিক বছরে ভারতে অন্তত 833 কেজি সোনাপাচার (Gold Smuggling in India) হয়েছে ! যার বাজারদর প্রায় 405 কোটি টাকা ! ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স (Directorate of Revenue Intelligence) বা ডিআরআই (DRI)-এর একটি রিপোর্টে এমনটাই দাবি করা হয়েছে ৷ সোমবার সেই রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman) ৷
প্রসঙ্গত, এদিন ছিল ডিআরআইয়ের 65তম প্রতিষ্ঠা দিবস (65th DRI Foundation Day) ৷ সেই উপলক্ষে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট রিপোর্টটি প্রকাশ করেন নির্মলা ৷ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলে, "যদি প্রত্যেক বছর গড়ে 800 কেজি করে পাচার হওয়া সোনা উদ্ধার করা হয়, তাহলে বুঝতে হবে সমস্যা অত্যন্ত গভীর ৷"
আরও পড়ুন:কোমরের বেল্টে হাত দিতেই মিলল 32টি সোনার বিস্কুট, গ্রেফতার তিন
সংশ্লিষ্ট রিপোর্টটি তৈরি করার ক্ষেত্রে একাধিক বিষয়ের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে ৷ যেমন- পাচারের ধরন, বাণিজ্যিক প্রতারণা এবং আন্তর্জাতিকস্তরে চোরাচালানকারীদের ধরপাকড়ের মতো বিষয়গুলির বিশ্লেষণও এই রিপোর্টের আওতায় আনা হয়েছে ৷ এই রিপোর্ট অনুসারে, করোনাকালে আন্তর্জাতিক ভ্রমণের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল ৷ কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা উঠে যেতেই সোনাপাচারের ক্ষেত্রে লক্ষ্যণীয় বাড়বাড়ন্ত হয়েছে ৷ 2021-22 অর্থবর্ষে সারা দেশে 833.07 কেজি পাচার হওয়া সোনা উদ্ধার করা হয়েছে ৷ যার আনুমানিক বাজারদর 405 কোটি টাকা ৷
এই রিপোর্টে সোনাপাচারের একটি বিশেষ পরিবর্তন সকলের নজর কেড়েছে ৷ 2019-20 অর্থবর্ষ পর্যন্ত সোনাপাচারের কেন্দ্রে ছিল পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলি ৷ কিন্তু, 2021-22 আর্থিক বছরে সেই জায়গায় চলে এসেছে ভারত ! এই সময়ের মধ্যে ভারতে মোট যত পরিমাণ পাচারের সোনা উদ্ধার করা হয়েছে, তার প্রায় 37 শতাংশই এসেছে মায়ানমার থেকে ৷ তাছাড়া, অধিকাংশ সোনাই পাচার করা হয়েছে ক্যুরিয়ার রুট ধরে ৷ আগে সাধারণত, সোনা পাচার করত স্থানীয় পাচারকারীরা ৷ কিন্তু, করোনার জেরে পাচারেও লোক পাওয়া মুশকিল হয়ে দাঁড়ায় ৷ ফলে ক্যুরিয়ারের মাধ্যমে পাচারের বন্দোবস্ত করা হয় ৷ এছাড়াও, 2021-22 অর্থবর্ষে ডিআরআই পাচার হওয়া প্রায় 310 কেজি কোকেন উদ্ধার করেছে ৷ যা আগের বছরগুলির তুলনায় অনেকটাই বেশি ৷