আলওয়ার (রাজস্থান), 12 জুলাই: চার্লি চ্যাপলিনের মর্ডান টাইমস দেখেছেন নিশ্চই ? চার্লি কারখানার নাটবল্টু টাইট করার কাজে এতটাই আসক্ত হয়ে পড়েছিল যে, নাট-বল্টু মতো যা দেখতো তাই টাইট করতে দৌঁড়াত ৷ আপনাকে জানাব রাজস্থানের আলওয়ারের এক 15 বছরের কিশোরের কথা ৷ চ্যাপলিনের সঙ্গে এই কিশোরের মিল জানেন কোথায় ? তা হল কোনও কাজ করার আসক্তিতে ৷ এই কিশোর 15 ঘণ্টা ধরে মোবাইলে গেমে এতটাই আসক্তি হয়ে পড়েছিল যে, সে হারিয়েছে তার মানসিক স্থিতি ৷ মোবাইলে পাবজি গেম খেলার মতোই এখন তার হাত অনবরত কাঁপতে থাকে ৷ এখনও সে বিস্কুটের প্যাকেটাও ঠিকভাবে ধরতে পারে না ৷
পাবজি ও ফ্রি-ফায়ার-এর মতো অনলাইন গেম একটি 15 বছরের কিশোর ভবিষ্যৎ টেনে নিয়ে গিয়েছে অন্ধকারে ৷ পাবজির প্রতি নেশার কারণে আজ বাড়ি থেকে দূরে মানসিক কেয়ার সংস্থায় চিকিৎসা চলছে কিশোরের ৷ ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের আলওয়ারে ৷ জানা গিয়েছে, কিশোর প্রতিদিন প্রায় 15 ঘণ্টা ফোনের মধ্যে পাবজি গেমে মত্ত থাকত ৷ টানা 6 মাস এই ভাবেই খেলতে থাকে সে ৷ যার করুণ পরিণতি আজ দেখতে পাচ্ছেন তার বাবা-মা ৷ পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্লাস সেভেনের ছাত্র ছিল ওই কিশোর ৷ বাবা-মা দুজনেই দিনমজুরির কাজ করেন ৷ বিপদেআপদে দরকারের জন্য ঘরে একটি ফোন রাখা ছিল ৷ কিন্তু সেই ফোনে ফ্রি-ফায়ার, পাবজি খেলা শুরু করে ওই কিশোর ৷
বাড়িতে বাবা-মা বকলে, বারবার পালিয়ে যেত ঘর ছেড়ে ৷ কখনও বন্ধুর বাড়ি আবার কখনও আত্মীয়দের বাড়ি ৷ কিশোরের মা বলেন, "প্রায় সময়ই তাঁর থেকে ফোন নিয়ে নেওয়া হত ৷ বকাবকি করলে কিছুক্ষণের জন্য খেলা বন্ধ রাখত ৷ কিন্তু আমরা কাজে বেরিয়ে গেলেই আমার ফোন নিয়ে খেলা শুরু করত ৷ মাঝে মধ্যে রাত 2টো 3টের সময়ও ঘুম ছেড়ে খেলায় মত্ত থাকত ৷ এই করতে করতে প্রথমে চোখের সমস্যা শুরু হয়েছিল তাঁর ৷ সেটা থেকে সেরে উঠতেই মানসিক স্বাস্থ্য বিঘ্নিত হয়েছে ছেলের ৷"