বেতুল, 24 ডিসেম্বর:বড়দিনের আগের দিনই 'ঘর ওয়াপসি' মধ্যপ্রদেশে ৷ জানা গিয়েছে, মধ্যপ্রদেশের বেতুল এবং মহারাষ্ট্রের অমরাবতী জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় দুই জেলার একাধিক গ্রামের কয়েক'শো দলিত এবং আদিবাসী খ্রিস্টান ধর্ম ছেড়ে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছেন ৷
সাবলমেন্ধার রামদেব বাবা সংস্থায় উভয় জেলার 152 জন হিন্দু রীতিনীতি মেনে ধর্ম পরিবর্তণ করেছেন। এদের হাতে সুতো বেঁধে, তাদের গঙ্গাজল পান করিয়ে এবং তাদের পা ধুয়ে হিন্দু ধর্মে ফিরে যেতে একরকম বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে, খ্রিস্টান মিশনারিদের বিরুদ্ধে এই মানুষগুলোকে প্রলোভন দেখিয়ে তাদের ধর্ম পরিবর্তন করানো হয়েছিল বলে পালটা অভিযোগ করা হয়েছে। দাবি করা হয়েছে, লোভের বশবর্তী হয়ে ধর্ম পালটেছিল এরা। এখন এই মানুষগুলো প্রতারিত হয়ে অনুশোচনা বোধ থেকেই ফের নিজেদের ধর্মে ফিরে এসেছেন ৷
নিজেদের সমাজ ও আত্মীয়-স্বজন থেকেও দূরে সরে যাচ্ছিলেন তারা। তাই এরা সকলেই হিন্দু ধর্মে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গত দুই দিনে মধ্যপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের 151 জন হিন্দু রীতি অনুযায়ী ঘরে ফিরেছেন। এই এলাকার গ্রামবাসীদের মতে, ধর্মপ্রচারকারীরা ষড়যন্ত্র করে গ্রামীণ এলাকার দরিদ্র ও অভাবী লোকদের ধর্মান্তরিত করতে প্ররোচিত করে। মানুষকে ধর্মান্তরিত করার জন্য বাড়ি, টাকা, চাকরি এবং চিকিৎসার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়।
বেতুল ও অমরাবতী জেলার কয়েক ডজন গ্রামের একাধিক পরিবার খ্রিস্টান ধর্মপ্রচারকদের এই ষড়যন্ত্রে আটকে পড়েছিল বলে অভিযোগ। যারা ধর্মান্তরিত হয়েছেন তারা গ্রামবাসীদের দ্বারাও সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন। গ্রামবাসীরা তাদের কোনও কর্মসূচিতেই অংশ নেয় না, এমনকী বিয়েতেও এসব লোকের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখে না বলে অভিযোগ। ধর্মপ্রচারকরা এই নিরীহ লোকদের যে প্রতিশ্রুতি দেয় তা ধর্মান্তরিত হওয়ার পরে আর পূরণ হয় না। যার কারণে গ্রামবাসীদের তাদের ধর্মে ফিরে আসা ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না। এই ধরনের মানুষকে চিহ্নিত করে মানসিকভাবে প্রস্তুত করতে এলাকার কিছু মানুষ প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন। সেসব লোকের পরামর্শের পর বিপুল সংখ্যক মানুষ এখন ঘরে ফিরে হিন্দু ধর্ম ও রীতিনীতি গ্রহণ করতে শুরু করেছে।