ETV Bharat / state

Man marries terminally ill girlfriend

Newly-wed couple meets tragic end, man marries his love on her death bed in West Bengal.

'Till death do us part'
author img

By

Published : Aug 7, 2019, 2:37 PM IST

North Dinajpur (WB): A couple in love, hailing from West Bengal, met a tragic end. The woman, diagnosed with bone cancer breathed her last right after her fiance applied vermillion on her forehead in accordance with a Bengali wedding ritual.

A boy from North Dinajpur and his wife from Siliguri were in love for years. But fate had different plans, his wife was diagnosed with cancer, and she eventually succumbed to it.

Subrata and Bithi although married had very little time together. She was only able to hold on for two hours after the ritual.

Bithi was diagnosed with the disease long ago but Subrata did not leave her. He religiously stayed with her and supported her throughout.

Bithi's parents said although they lost a daughter, today they've earned a son.

READ: Sushma, the External Affairs Minister with human touch

North Dinajpur (WB): A couple in love, hailing from West Bengal, met a tragic end. The woman, diagnosed with bone cancer breathed her last right after her fiance applied vermillion on her forehead in accordance with a Bengali wedding ritual.

A boy from North Dinajpur and his wife from Siliguri were in love for years. But fate had different plans, his wife was diagnosed with cancer, and she eventually succumbed to it.

Subrata and Bithi although married had very little time together. She was only able to hold on for two hours after the ritual.

Bithi was diagnosed with the disease long ago but Subrata did not leave her. He religiously stayed with her and supported her throughout.

Bithi's parents said although they lost a daughter, today they've earned a son.

READ: Sushma, the External Affairs Minister with human touch

Intro:স্পেশাল বাল্যকালের প্রেম। সদ্য যৌবনে পা রাখব রাখব করছে দুজনে। একরাশ স্বপ্ন বুকে। সব তছনছ করে দিল প্রেমিকার ক্যানসার। কাটা পড়ল একটা হাত। কেমোর জেরে উঠে গেল মাথার চুল। কিন্তু চোখের দৃষ্টিতে নয়, মনের দৃষ্টিতেই প্রেমিকাকে ভালবেসেছিল প্রেমিক। তাই দশ বছর হাতে হাত মিলিয়ে লড়াই শুরু দুজনের। শেষমেশ মৃত্যুর আগে আইসিইউতে প্রেমিকাকে সিঁদুরদান, বিয়ে। মেয়েকে হারালেও এমন জামাই পেয়ে গর্বিত মেয়ের পরিবার।


Body:শিলিগুড়ির ডাবগ্রামে ছোট্ট একটা বাড়ি। কিছুটা পাকা, কিছুটা টিনের চাল দেওয়া। সেখানে থাকেন অবসরপ্রাপ্ত রেলের কর্মী কালিপদ দাস। তিন মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে ভালোই কাটছিল জীবন। কিন্তু বছর দশেক আগে শুরু হয় অন্য এক লড়াই। ছোট মেয়ে বীথি দাসের ক্যান্সারে আক্রান্ত বুঝে শুরু হয় চিকিৎসা। কালিপদবাবুর কথায়, জানতাম না মেয়ে প্রেম করে। একদিন একটা ম্যাসেজ দেখে বুঝেছিলাম ওদের ভালোবাসার বিষয়টা। গত দশ বছরে মেয়ের হাত কাটা গিয়েছে, চুল উঠে গিয়েছে। মৃত্যু নিশ্চিত জেনেই জামাই ওকে ছেড়ে পালায় নি। বরং আমাদের পরিবারের সদস্য হিসেবে কোমর বেঁধে লড়াই করেছে। বীথির মা জানান গত শনিবার কেমন যেন ছটফট করছিল মেয়েটা। চিকিৎসকেরা বললেন সময় কম। মেয়ে আমায় বলল আমার ভালোবাসার পাত্র সুব্রত। ও আমায় সিঁদুর পরিয়ে দিক। আইসিইউ তেই সে ব্যবস্থাও করলাম। তার দু ঘন্টা পর মারা গেল বীথি। আমরা হেরে গেলাম লড়াইতে। গত দশ বছরে বীথির ভালোবাসার পাত্র সুব্রত প্রেমিক হিসেবে শুধু আমার মেয়েকে ভালোবেসেছে তা নয়, এই দুঃসমযে মেয়ের পাশে থেকেছে। শেষ দিন পর্যন্ত থেকেছে। আজকের দিনে এমন ভালোবাসায় আমরাও আশ্চর্য হয়েছি। মেয়েকে হারিয়েছি ঠিকই। কিন্তু সুব্রত মেয়ের মৃত্যুর দিনে সিঁদুর দিয়েছে। জামাই আমাদের। আমরা গর্বিত জামাই এর ভালোবাসার জন্য।


Conclusion:উত্তর দিনাজপুরের টুঙ্গিদিঘির বাসিন্দা সুব্রত কুন্ডু। সার্ভেয়ারের কাজ করেন। ক্যামেরার সামনে আসতে অস্বীকার করে বলেন প্রচার চাই না। জা হারালাম তাতো আর ফিরে আসবে না। তিনি আরো বলেন মন থেকে ভাল বাসতাম। তাই ছেড়ে যাই নি। শেষদিনে সিঁদুর পরিয়ে দিয়েছি দুই পরিবারের সম্মতিতেই। গত দশ বছরে বারবার গিয়েছি মুম্বাই। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল ওর। পরে শিলিগুড়ি নিয়ে আসা হয়। 2017 তে বীথির ডান হাত কাটা যায়। পাশে ছিলাম। সাহস দিয়েছি। মাথার চুল উঠে চেহারায় বার্ধক্য আসছিল। কিন্তু বাহ্যিক চেহারাকে ভাল বাসিনি। ভালোবাসতাম অন্তরের দৃষ্টিতে। তাই ছেড়ে যাই নি। কিন্তু শেষরক্ষা করতে পারলাম না।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.