কলকাতা, 28 অক্টোবর: আরজি করের রক্তমাখা গ্লাভস-কাণ্ডের পর এবার খবরের শিরোনামে এসএসকেএম-এর মরচে পড়া কাঁচি । ওই কাঁচি দিয়েই অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে তা ভেঙেও যায় বলে অভিযোগ ৷ সেই জং ধরা কাঁচির ছবি পোস্ট করেছেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা ৷ এর ফলে আরও একবার সরকারি হাসপাতালে রোগী পরিষেবা নিয়ে উঠল বড়সড় প্রশ্ন ।
রাজ্যের অন্যতম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের রোগী পরিষেবার সামগ্রীর বেহাল দশার কথা তুলে ধরতে জং ধরা কাঁচিটির ছবি সোমবার পোস্ট করে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট ৷ তারা জানায়, ওটি চলাকালীন এসএসকেএম হাসপাতালে মেলে জং ধরা কাঁচিটি ।
আগের সপ্তাহের মঙ্গলবার এসএসকেএম হাসপাতালে প্রসূতি বিভাগে সিজার চলছিল । সেই ওটি চলাকালীন ওই কাঁচিটি ব্যবহার করা হচ্ছিল । ওই অপারেশন থিয়েটারে আন্দোলনকারী বহু জুনিয়র চিকিৎসক ছিলেন । তাঁরা যখন সিনিয়র চিকিৎসককে কাঁচিটি দিতে যান, তখন তাঁরা দেখেন তাতে জং ধরে গিয়েছে । এমনকি ওটির সময়ই সেই জং ধরা কাঁচিটি ভেঙেও যায় বলে অভিযোগ । এই তথ্য জানিয়ে আরও একবার রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আন্দোলনকারীরা ৷
ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের এক জুনিয়র চিকিৎসক বলেন, "আমরা একাধিকবার বলেছি রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি করতে হবে । কারণ এই ধরনের ঘটনা নতুন নয় । তবে এটা তো চলতে পারে না । আমরা আন্দোলন করছি । কিন্তু এর মাঝেই আমরা আরজি কর হাসপাতালে রক্তমাখা গ্লাভস দেখতে পেলাম । ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অপারেশন থিয়েটারে ইঁদুরকে দৌড়তে দেখলাম । আবার এসএসকেএম হাসপাতালে জং ধরা কাঁচি দেখছি । তাহলে কোথায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি হল ?"
মূলত স্টিল জাতীয় দ্রব্য হাসপাতালে একবার ব্যবহার হওয়ার পর তা সম্পূর্ণভাবে পরিষ্কার করা হয় । তারপরেই তা অন্য রোগীর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় । ফলে এই ক্ষেত্রেও সেই কাজই করা হয়েছে । যদিও জং ধরা কাঁচির বদলে সেদিন অস্ত্রোপচারের সময় নতুন একটি কাঁচিই ব্যবহার করা হয়েছে । কারণ জং ধরা কাঁচি ব্যবহার করলে রোগীর শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়ে যেত । এছাড়াও সেই কাঁচি ভেঙে গিয়েছিল, ফলে তা ব্যবহারযোগ্যও ছিল না । তবে এখনও এই বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি ।