কলকাতা, 25 এপ্রিল: চাকরিহারাদের জন্য খানিক স্বস্তির খবর ৷ এপ্রিল মাসের বেতন সম্পূর্ণভাবে হাতে পাবেন তাঁরা ৷ এমনকী এখনই বন্ধ হচ্ছে না তাঁদের বেতনও ৷ শিক্ষা দফতর সূত্রে এমনই খবর ৷ এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন ৷ অভিযোগ জানিয়েছে রাজ্য সরকারও ৷ শিক্ষা দফতর জানিয়েছে, যেহেতু এই মামলা শীর্ষ আদালত গ্রহণ করেছে, তাই চাকরিহারাদের বেতন এখনই বন্ধ করা হচ্ছে না ৷
তবে রাজ্য সরকার এভাবে বেতন দিয়ে যেতে পারে না বলে মনে করেন প্রবীণ আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য ৷ ইটিভি ভারতের প্রতিনিধিকে ফোনে তিনি বলেন, "যাঁদের চাকরি গিয়েছে তাঁরা এপ্রিল মাসের বেতন পেতেই পারেন ৷ তবে তার পরে তাঁদের বেতন দেওয়া হলে তা আদালত অবমাননার সামিল হবে ৷ রাজ্য সরকার যদি লিখিত নির্দেশ জারি করে তাহলে আমি আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেব ৷"
সোমবার, 2016 সালের সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট ৷ উচ্চ আদালতের এই রায়ে শিক্ষক এবং অ-শিক্ষক কর্মী মিলিয়ে একসঙ্গে চাকরি হারিয়েছেন 25753 জন ৷ লোকসভা নির্বাচনের মধ্যে এই রায়ে শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য জুড়ে ৷ স্বাভাবিকভাবেই চিন্তায় পড়ে যান সকলে ৷ এই মাসের বেতন তাঁরা পাবেন কি না ! তা নিয়েই ভয় তৈরি হয় সদ্য চাকরিহারাদের মনে ৷ শহীদ মিনারে জমায়েত করে সেই প্রশ্নই তুলেছিলেন সদ্য চাকরিহারারা ৷ সেই প্রশ্নেরই উত্তর দিল শিক্ষা দফতর ৷
এই বিষয়ে সদ্য চাকরিহারা স্বর্ণালী সামন্ত বলেন, "এটা শুনে একটু ভালো লাগছে যে বেতনটা হাতে পাব । এই বেতন পাওয়া মানে হচ্ছে রাজ্য সরকার কোথাও গিয়ে এখনই আমাদের চাকরিচ্যুত করছে না । অর্থাৎ তারাও এক ধরনের চেষ্টা করছে বলা যেতে পারে ৷"
উচ্চ আদালতের রায়ের পর স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন যোগ্যরা । তাঁদের দাবি, কেন যোগ্যদের নাম হাইকোর্টে পেশ করেনি কমিশন ? সেই প্রশ্নের উত্তরে স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার জানান, পাঁচ হাজারের বেশি অযোগ্যের নাম দেওয়া হয়েছিল এসএসসির তরফে । কিন্তু তাতেও সন্তুষ্ট হয়নি কলকাতা হাইকোর্ট । ফলে এবার এই তথ্য তাঁরা জমা দেবেন সুপ্রিম কোর্টে ।
আরও পড়ুন: