শ্যামপুর (হাওড়া), 14 অক্টোবর: দুর্গাপুজোর অনুষ্ঠানকে ঘিরে সংঘর্ষ বাঁধল দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ৷ বসে আঁকো প্রতিযোগিতার একটি ছবিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় ৷ চলে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ ৷ রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার শ্যামপুরে ৷ এই ঘটনায় 67 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷
বসে আঁকো প্রতিযোগিতার ছবি সমাজের একটি অংশের ভাবাবেগে আঘাত করেছে ৷ এই অভিযোগে, ভাঙচুর চালানো হয় ৷ পাশাপাশি, আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হামলাকারী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, যে ছবিটি আঁকা হয়েছিল, তা আপত্তিকর বলে একপক্ষ অভিযোগ দায়ের করেছিল পুলিশে ৷ অভিযোগ, সেই অভিযোগ দায়ের হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই হামলা চালানো হয় ৷ সংঘর্ষ শুরু হয় দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে ৷ হাওড়া গ্রামীণ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনার পরেই শ্যামপুর এলাকায় বাহিনী ও ব়্যাফ মোতায়েন করা হয় ৷ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাত থেকেই পুলিশ বাহিনী মোতায়েন রয়েছে ৷
এ নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছেন, "একদল দুষ্কৃতী শ্যামপুর পুলিশ স্টেশনে ডেপুটেশন জমা দিয়ে ফেরার পথে, হামলা চালিয়েছে ৷ এমনকি ইটবৃষ্টিও করে তাঁদের মধ্যে কয়েকজন ৷ শ্যামপুর বাজারে বেশ কয়েক জায়গায় আগুনও ধরিয়ে দিয়েছে তারা ৷" এই ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন শুভেন্দু ৷
বিরোধী দলনেতা পুলিশ প্রশাসনের উদ্দেশে সোশাল মিডিয়ায় লিখেছেন, "আমি রাজ্য পুলিশের ডিজি-কে আবেদন করছি, ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত বাহিনী পাঠানো হোক ৷ যাতে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা বন্ধ হয় ৷ পাশাপাশি, স্বরাষ্ট্র দফতরের সচিবের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, তিনি পুরো পরিস্থিতির উপর নজর রাখুন, যতক্ষণ না সব স্বাভাবিক হচ্ছে ৷ আর হাওড়ার জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপার গ্রামীণের কাছে আবেদন, আপনারা আসল অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্য়বস্থা নিন ৷"
শ্যামপুরের অশান্তি, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় হাওড়া গ্রামীণের পুলিশ সুপার স্বাতী ভাঙারিয়া বলেন, "এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত 67 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ তাঁদের আজ আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ ৷ এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে ৷ পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতিতে যেভাবে এগোবে, সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷"