ETV Bharat / state

কে বেশি উন্নয়ন করেছেন, তৃণমূলের দুই বিধায়কের দাবি-পালটা দাবিতে সরগরম শিল্পাঞ্চল - Fight over Development

Fight over Development in Paschim Bardhaman: পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর দাবি, তাঁর বিধানসভা এলাকায় সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন হয়েছে ৷ অন্যদিকে ওই জেলার রানিগঞ্জের বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের পালটা দাবি, তাঁর বিধানসভা এলাকায় বেশি উন্নয়ন হয়েছে ৷ আসলে কে সঠিক দাবি করছেন ?

Fight over Development in Paschim Bardhaman
কে বেশি উন্নয়ন করেছেন, তৃণমূলের দুই বিধায়কের দাবি-পালটা দাবিতে সরগরম শিল্পাঞ্চল (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 27, 2024, 7:34 PM IST

আসানসোল, 27 সেপ্টেম্বর: কে বেশি উন্নয়ন করেছেন, রানিগঞ্জের বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ! এই নিয়ে সরগরম পশ্চিম বর্ধমান৷ একদিকে নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর দাবি, পাণ্ডবেশ্বরেই সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন হয়েছে ৷ অন্যদিকে তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, উন্নয়ন তাঁর এলাকাতেই হয়েছে সবচেয়ে বেশি ৷ এখন প্রশ্ন হল, কার দাবি ঠিক ?

এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, সম্প্রতি সোশাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক তৃণমূলের নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ৷ সেখানে তিনি দাবি করেছেন যে পশ্চিম বর্ধমানে বিধায়ক এলাকা উন্নয়নে এগিয়ে রয়েছে ৷ সেখানে কাজ হয়েছে 51 শতাংশ ৷ ওই জেলায় অন্য বিধানসভাগুলিতে বিধায়ক উন্নয়ন তহবিলের টাকা কতটা খরচ হয়েছে, তার একটি হিসেবও তিনি সেই পোস্টে দিয়েছেন ৷ তবে সেখানে এই তথ্যের উৎসের বিষয়টি উল্লেখ করা নেই ৷

TMC MLA
রানিগঞ্জের বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় (নিজস্ব ছবি)

যদিও জানা গিয়েছে, বিধানসভা এলাকার উন্নয়ন প্রকল্পের নজরদারি চালানোর জন্য বিধানসভার যে স্ট্যান্ডিং কমিটি রয়েছে, তারা সম্প্রতি এসেছিল পশ্চিম বর্ধমানের কাজ সরজমিনে দেখতে ৷ এর পর তারা একটি রিপোর্ট দেন, সেই রিপোর্ট অনুযায়ী পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী তাঁর বিধায়ক তহবিলের টাকা সবচেয়ে বেশি খরচ করেছেন ৷ সম্ভবত সেই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই এই পোস্ট করেছেন নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ৷

কিন্তু সতীর্থের এই দাবি মানতে নারাজ রানিগঞ্জের বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়কের পোস্ট অনুযায়ী রানিগঞ্জে মাত্র 30 শতাংশ কাজ হয়েছে ৷ আর তা নিয়েই আপত্তি তুলেছেন আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র ৷ তাঁর দাবি, পাণ্ডবেশ্বর নয়, রানিগঞ্জ বিধানসভা এলাকায় সবচেয়ে বেশি কাজ হয়েছে ৷

Social Media Post
পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর পোস্ট (সোশাল মিডিয়া থেকে সংগৃহীত)

সত্যিই যদি তা হয়, তাহলে রিপোর্টে তার উল্লেখ নেই কেন ? এই প্রশ্নের উত্তরে তাপস পুরো দায় সরকারি আধিকারিকদের ঘাড়ে চাপিয়েছেন ৷ তাঁর দাবি, সরকারি আধিকারিকদের গাফিলতির কারণে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা পড়েনি বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটির কাছে ৷ আর সেই কারণেই তাঁর কাজকে কম করে দেখানো হয়েছে ।

তিনি বলেন, "স্ট্যান্ডিং কমিটির রিপোর্টে আমার বিধানসভায় পাওয়া ফান্ড থেকে মাত্র 38 শতাংশ টাকার কাজ হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে । মাত্র 84 লক্ষ টাকার ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দেখানো হয়েছে । অথচ সাত মাস আগে শেষ হওয়া 27 লক্ষ টাকার একটি কাজের ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট এল বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটি চলে যাওয়ার দু’দিন পর । সরকারি কিছু আধিকারিকের উদাসীনতার কারণেই এটা হয়েছে ।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘যদিও আমি কাউকে দোষ দিতে চাই না । কিন্তু এ ক্ষেত্রে আমারও কোনও দোষ নেই । অর্থাৎ আমার বিধানসভা এলাকায় পাওয়া 1 কোটি 70 লক্ষ টাকার ফান্ডের থেকে 1 কোটি 3 লক্ষ টাকার কাজ ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে । আগামীর পরিকল্পনাও পাঠানো হয়েছে । অর্থাৎ যা ফান্ড পাওয়া গিয়েছিল, তার মধ্যে রানিগঞ্জ বিধানসভায় 61 শতাংশ টাকার কাজ আমি করে দিয়েছি । তারপরও আমার কাজ দেখানো হল মাত্র 38 শতাংশ ।"

আসানসোল, 27 সেপ্টেম্বর: কে বেশি উন্নয়ন করেছেন, রানিগঞ্জের বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ! এই নিয়ে সরগরম পশ্চিম বর্ধমান৷ একদিকে নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর দাবি, পাণ্ডবেশ্বরেই সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন হয়েছে ৷ অন্যদিকে তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, উন্নয়ন তাঁর এলাকাতেই হয়েছে সবচেয়ে বেশি ৷ এখন প্রশ্ন হল, কার দাবি ঠিক ?

এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, সম্প্রতি সোশাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক তৃণমূলের নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ৷ সেখানে তিনি দাবি করেছেন যে পশ্চিম বর্ধমানে বিধায়ক এলাকা উন্নয়নে এগিয়ে রয়েছে ৷ সেখানে কাজ হয়েছে 51 শতাংশ ৷ ওই জেলায় অন্য বিধানসভাগুলিতে বিধায়ক উন্নয়ন তহবিলের টাকা কতটা খরচ হয়েছে, তার একটি হিসেবও তিনি সেই পোস্টে দিয়েছেন ৷ তবে সেখানে এই তথ্যের উৎসের বিষয়টি উল্লেখ করা নেই ৷

TMC MLA
রানিগঞ্জের বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় (নিজস্ব ছবি)

যদিও জানা গিয়েছে, বিধানসভা এলাকার উন্নয়ন প্রকল্পের নজরদারি চালানোর জন্য বিধানসভার যে স্ট্যান্ডিং কমিটি রয়েছে, তারা সম্প্রতি এসেছিল পশ্চিম বর্ধমানের কাজ সরজমিনে দেখতে ৷ এর পর তারা একটি রিপোর্ট দেন, সেই রিপোর্ট অনুযায়ী পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী তাঁর বিধায়ক তহবিলের টাকা সবচেয়ে বেশি খরচ করেছেন ৷ সম্ভবত সেই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই এই পোস্ট করেছেন নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ৷

কিন্তু সতীর্থের এই দাবি মানতে নারাজ রানিগঞ্জের বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়কের পোস্ট অনুযায়ী রানিগঞ্জে মাত্র 30 শতাংশ কাজ হয়েছে ৷ আর তা নিয়েই আপত্তি তুলেছেন আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র ৷ তাঁর দাবি, পাণ্ডবেশ্বর নয়, রানিগঞ্জ বিধানসভা এলাকায় সবচেয়ে বেশি কাজ হয়েছে ৷

Social Media Post
পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর পোস্ট (সোশাল মিডিয়া থেকে সংগৃহীত)

সত্যিই যদি তা হয়, তাহলে রিপোর্টে তার উল্লেখ নেই কেন ? এই প্রশ্নের উত্তরে তাপস পুরো দায় সরকারি আধিকারিকদের ঘাড়ে চাপিয়েছেন ৷ তাঁর দাবি, সরকারি আধিকারিকদের গাফিলতির কারণে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা পড়েনি বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটির কাছে ৷ আর সেই কারণেই তাঁর কাজকে কম করে দেখানো হয়েছে ।

তিনি বলেন, "স্ট্যান্ডিং কমিটির রিপোর্টে আমার বিধানসভায় পাওয়া ফান্ড থেকে মাত্র 38 শতাংশ টাকার কাজ হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে । মাত্র 84 লক্ষ টাকার ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দেখানো হয়েছে । অথচ সাত মাস আগে শেষ হওয়া 27 লক্ষ টাকার একটি কাজের ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট এল বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটি চলে যাওয়ার দু’দিন পর । সরকারি কিছু আধিকারিকের উদাসীনতার কারণেই এটা হয়েছে ।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘যদিও আমি কাউকে দোষ দিতে চাই না । কিন্তু এ ক্ষেত্রে আমারও কোনও দোষ নেই । অর্থাৎ আমার বিধানসভা এলাকায় পাওয়া 1 কোটি 70 লক্ষ টাকার ফান্ডের থেকে 1 কোটি 3 লক্ষ টাকার কাজ ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে । আগামীর পরিকল্পনাও পাঠানো হয়েছে । অর্থাৎ যা ফান্ড পাওয়া গিয়েছিল, তার মধ্যে রানিগঞ্জ বিধানসভায় 61 শতাংশ টাকার কাজ আমি করে দিয়েছি । তারপরও আমার কাজ দেখানো হল মাত্র 38 শতাংশ ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.