শালবনী, 22 ফেব্রুয়ারি: গ্রামে চার দলছুট দাঁতালের হানা ৷ মৃত্য়ু হল দুই ব্যক্তির ৷ বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুরের বনবিভাগের ভাদুতলা রেঞ্জের মৌপাল বিটের ঘটনা ৷ শালবনী ব্লকের দু’টি গ্রাম কালিবাসা ও নোনাশোলে এলাকায় সন্ধ্যে থেকে রাত পর্যন্ত চারটি দাঁতাল হানা দেয় ৷ তাতেই মৃত্যু হয়েছে দু’টি কৃষকের ৷ মৃতরা হলেন টুকেশ্বর মান্ডি ও ভাস্কর কিস্কু ৷
মৃতদের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার স্থানীয় কালিবাসা গ্রামের বাসিন্দা টুকেশ্বর মান্ডি তাঁর আলু জমিতে ছিলেন চাষের কাজ দেখা শোনার জন্য ৷ সেই সময়েই একটি হাতি তাঁর উপর আক্রমণ করে ৷ এর বেশ কয়েক ঘণ্টা পর পাশের গ্রাম নোনাশোলে বাসিন্দা ভাস্কর কিস্কুর উপর আক্রমণ করে ৷ গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
গ্রামে হাতির হানার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় বনদফতরের আধিকারিকরা ৷ মৃতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন ৷ পরিবারের একজনকে চাকরি দেবেন বলেও আশ্বস্ত করেন ৷ হাতির হামলা থেকে জঙ্গলমহলবাসীর প্রাণ রক্ষার বিষয়ে 'আশ্বস্ত' করতে পারেনি গ্রামবাসীদের ।পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া এলাকায় প্রায়শই হাতির হানায় মৃত্যু ঘটেই চলছে । কীভাবে পথে এর সঠিক সমাধান সম্ভব, তা বলতে পারছে না বনদফতর ও পুলিশ প্রশাসন ৷
উল্লেখ্য, গত সোমবার সন্ধ্যায় চন্দ্রকোনার ধামকুড়িয়ার জঙ্গলে হাতি দেখতে গিয়ে হাতির আক্রমণে মৃত্যু হয়েছিল ধামকুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা বছর 48-এর প্রদীপ ঘোষ নামে এক ব্যক্তির । সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই বুধবার সন্ধ্যায় মৃত ব্যাক্তির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জানান ৷ পাশাপাশি বনদফতরের পক্ষ থেকে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করা হয়েছে । মৃতের প্রদীপ ঘোষ-এর পরিবারের হাতে বনদফতরের পক্ষ থেকে 5 লক্ষ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়েছে । বন দফতরের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন চন্দ্রকোনা রেঞ্জের রেঞ্জার তমাল মুখোপাধ্যায়-সহ অন্যান্যরা।
আরও পড়ুন: