বলাগড়, 5 নভেম্বর: গ্রাম ভুগছে ডায়রিয়ায় আতঙ্কে ! ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত দুই, অসুস্থ আরও 32 জন। বেশ কয়েকজনের পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় পূর্ব বর্ধমানের কালনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গত পরশু, রবিবার থেকে গ্রামে ডায়রিয়ার প্রকোপ শুরু হয়। আর সোমবার রাতেই মৃত্যু হয় 2 জনের ৷ মঙ্গলবার সকালে তাঁদের মৃত্যুতে শোরগোল পড়ে যায় ৷ ঘটনাটি বলাগড়ের বাকুলিয়া ধোবাপাড়া পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কুলিয়াপাড়া গ্রামের।
মৃতরা হলেন, মাতাল টুডু (50) ও বনি কিস্কু (60) ৷ তবে কী কারণে এই ডায়রিয়ার প্রকোপ এত বাড়াবাড়ি তা পরিষ্কার নয়। আপাতত গ্রামের সমস্ত জলের টিউবয়েল খুলে ফেলা হয়েছে। গ্রামে থাকা দু'টি পুকুরের জল যাতে মানুষ ব্যবহার না-করে তার জন্য পোস্টার দেওয়া হয়েছে। পানীয় জলের জন্য আলাদা জলের ট্যাংক দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, আশা কর্মী ও স্বাস্থ্য কর্মীদের নিয়ে ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে একটি টিম পাঠানো হয়েছে।
হুগলি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মৃগাঙ্ক মৌলিক কর বলেন, "আক্রান্তদের চিকিৎসা চলছে। গতকাল বিএমওএইচ ব্লক স্বাস্থ্য দফতর থেকে টিম নিয়ে গিয়েছিলেন। আজ জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকে একটি টিম যাবে। জল থেকে এই ঘটনা, না-কোনও খাবার থেকে এমনটা হচ্ছে, তা-ও দেখা হচ্ছে ৷"
বাকুলিয়ার পঞ্চায়েত প্রধান গণেশ মাণ্ডি বলেন, "ডায়রিয়া হয়েছে গ্রামে জানতে পেরেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে পানীয় জলের কল থেকে এই ডায়রিয়া ছড়িয়েছে। কলগুলিকে খুলে ফেলা হয়েছে, যাতে কেউ ব্যবহার করতে না পারে। পুকুরের জল ব্যবহার করতেও নিষেধ করা হয়েছে। বাঁশ দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। জলের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। কালনা হাসপাতালে 10 জন আক্রান্তকে ভর্তি করা হয়েছিল।"
তিনি আরও বলেন, "সেখান থেকে কয়েকজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে দু'জন মারা যায়। পরবর্তীকালে তাঁদের আবার দু'জনের উপসর্গ দেখা দেয়। তাঁদের আবার জিরাট হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। গ্রামে মেডিক্যাল ক্যাম্প বসানো হয়েছে। আশাকর্মী থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মীরা গ্রামে রয়েছেন।"