শিলিগুড়ি, 15 জুলাই: রাজ্যে এবার নয়া কর্মসংস্থানের দিশা দেখাল পরিবহণ দফতর। এবার থেকে মিলবে রাজ্য পরিবহণ দফতরের অনুমোদিত টু-হুইলার বাইক কমার্শিয়াল লাইসেন্স বা সেল্ফ ড্রাইভ লাইসেন্স পরিষেবা। রাজ্যে প্রথম শিলিগুড়ির দুই ব্যবসায়ী দু'টো টু-হুইলারের লাইসেন্স পেলেন। আর এতে সব থেকে বেশি সুবিধা পাবেন পর্যটকরা। গোয়া কিংবা হিমাচল প্রদেশের মতো এখন থেকে মিলবে সরকার অনুমোদিত টু-হুইলার। যা নিয়ে অনায়াসে বেরিয়ে পরতে পারবেন পর্যটকরা।
অনেক পর্যটকরাই রয়েছেন যাঁরা অনেক সময় একা ঘুরতে যান। সেক্ষেত্রে চার চাকা বুকিং করে যাওয়া একদিকে যেমন বেশ খরচের বিষয়, অন্যদিকে, একার জন্য চারচাকা গাড়ি মেলাও কিছুটা দুষ্কর। আবার অনেক পর্যটকরা বাইক কিংবা স্কুটিতে করে ঘুরতে পছন্দ করেন। আর তাঁদের কথা মাথায় রেখেই মুশকিল আসান করল পরিবহণ দফতর। এতে একদিকে যেমন পর্যটকদের হয়রানি কমবে, অন্যদিকে অনেক বেকারদের কর্মসংস্থান হবে।
এর আগে বেসরকারি সংস্থার তরফে ওই দুই চাকাগুলি ভাড়া দেওয়া হত। এতে একদিকে যেমন কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে বীমা সংক্রান্ত সমস্যা হত, অন্যদিকে, পর্যটকদের মাঝেমধ্যেই প্রতারণার অভিযোগ উঠত। কিন্তু এবার সরকারের সিলমোহর পড়ায় অনেক বেশি ঝক্কি কমবে পর্যটকদের
অবশ্য এরাজ্যে যাতে ওই টু-হুইলার কমার্শিয়াল লাইসেন্সের জন্য উদ্যোগ নেন শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। 2022 সালে এনিয়ে চিঠি লিখেছিলেন কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গড়কড়িকে।
পরবর্তীতে যোগাযোগ করেছিলেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রীর সঙ্গেও। সবশেষে 2024 সালে সাফল্য এল। শংকর ঘোষ এদিন বলেন, "এতে একদিকে যেমন কর্মসংস্থান হল তার পাশাপাশি পর্যটকদের নিরাপত্তার দিকটিও সুনিশ্চিত হল। রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীকে ধন্যবাদ না-জানালেই নয়। তিনি খুব সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছেন। তার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানাই।" পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, "রাজ্যে প্রথম এই লাইসেন্স চালু করা হল। এতে পর্যটকদের যেমন সুবিধা হবে, তেমনই দারুণ কর্মসংস্থান হবে। আগামীতে রাজ্যের অন্যান্য পর্যটনস্থল কেন্দ্রিক জায়গাতেও এই লাইসেন্স দেওয়া হবে।"
ব্যবসায়ী সজল সাহা বলেন, "আমরা এই লাইসেন্স পাওয়ায় খুব খুশি। পরিবহণ মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। এবার আশা করব অনেক বেকারদের নতুন কর্মসংস্থান হবে।"