মালদা, 7 মে: বুথে ঢুকে ভোটারদের প্রভাবিত করছে রাজ্য পুলিশ কিংবা সাধারণ মানুষকে ভোটদানে প্রভাবিত করছেন তৃণমূল কাউন্সিলর ৷ বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীর বিক্ষিপ্ত কিছু অভিযোগ এবং অশান্তির ঘটনা বাদ দিলে বেলা 3টে পর্যন্ত মোটের উপর শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণই চলছে মালদা দক্ষিণ কেন্দ্রে ৷ এবার দুষ্কৃতীদের হাতে তৃণমূলের পোলিং এজেন্ট ও কর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার খবর সামনে এল ৷ মালদা দক্ষিণে সুজাপুর বিধানসভার গয়েশবাড়ি অঞ্চলের 115 নং বুথের ঘটনায় অভিযোগের তির কংগ্রেসের দিকে ৷
বুথ এজেন্ট ছাড়াও তাদের কয়েকজন কর্মী কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে নিগৃহীত হয়েছেন বলে অভিযোগ তৃণমূলের ৷ যদিও পালটা ওই কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী ঈশা খান চৌধুরীর দাবি, হারার ভয়ে তৃণমূল নতুন নাটক ফেঁদেছে ৷ তবে মালদা মেডিক্যালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হলে আহত তৃণমূলের বুথ এজেন্ট জলেল আলি বলেন, "সুজাপুর চাষপাড়ার 115 নম্বর বুথে তৃণমূলের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছিলাম ৷ সকাল থেকে সবকিছু ঠিকমতোই চলছিল ৷ হঠাৎ গয়েশবাড়ি এলাকার কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা বুথে চড়াও হয় ৷ চাষপাড়ায় ওদের কোনও ভোট নেই ৷ ওরা 20-25 জন আসে ৷ আমাকে বুথ থেকে বের করে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে ৷ ওদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল ৷ তা দিয়ে ওরা আমার মাথায় আঘাত করে ৷ আমাদের তিনজনকে ওরা মারধর করেছে ৷"
বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতি সত্ত্বেও তাঁর উপর হামলার অভিযোগ করেন তৃণমূলের বুথ এজেন্ট ৷ মালদা দক্ষিণ কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শাহনওয়াজ আলি রায়হান বলেন, "ওখানে আমাদের পোলিং এজেন্ট ছিলেন ৷ ভোট ঠিকমতোই হচ্ছিল ৷ হঠাৎ কংগ্রেসের সমাজবিরোধীরা সেখানে হামলা চালায় ৷ আমি ঘটনাস্থল দেখে এসেছি ৷ সেখানে বিএসএফ দাঁড়িয়ে রয়েছে৷ তারপরেও দুষ্কৃতীদের ভোটার আইডি পরীক্ষা না-করে তাঁরা কীভাবে তাদের ঢুকতে দিলেন জানি না ৷ ভিতরে ঢুকে ওরা আমাদের লোকজনকে বেধড়ক মারধর করে ৷ কংগ্রেসের কাছ থেকে এই দুর্বৃত্তায়ন আমরা আশা করি না ৷
যদিও কংগ্রেস প্রার্থী ঈশা খান চৌধুরী বলছেন, "দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় নির্বাচনী প্রচার শেষ হওয়ার পর থেকেই কুৎসিত খেলায় নেমেছে তৃণমূল ৷ একের পর এক ভুয়ো খবর সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করেছে ওরা ৷ ওরা বুঝে গিয়েছে, ওদের পরাজয় নিশ্চিত ৷ তাই মানুষের সহানুভূতি পেতে এখন এই নাটক করছে ৷ ওটা ওদেরই নির্বাচনি কৌশল ৷ কংগ্রেস কখনও হিংসায় বিশ্বাসী নয় ৷"
আরও পড়ুন: