বোলপুর, 3 নভেম্বর: তৃণমূল কর্মী খুন ৷ খুনের কারণ এখনও স্পষ্ট নয় ৷ শনিবার গভীর রাতে বীরভূমের কংকালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য সমীর থান্দারের (45) দেহ পাশের গ্রাম উত্তরনারায়ণ পুরে পড়ে থাকতে দেখা যায় ৷ তাঁকে প্রথমে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ রবিবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে ৷ এই ঘটনায় শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ 5 জনকে আটক করেছে ৷
শান্তিনিকেতন থানার কংকালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের পারুলডাঙা পঞ্চায়েতের সদস্য ছিলেন সমীর থান্দার ৷ পাশের গ্রাম উত্তরনারায়ণ পুর থেকে তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয় ৷ প্রতিবেশী পাতাল রুই দাস তাঁকে প্রথমে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান ৷ অবস্থার অবনতি হলে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় ৷ সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে ৷ পরিবার ও প্রতিবেশীদের অনুমান, তাঁকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে । তবে কী কারণে এই খুন তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে ৷
তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরেই কি এই খুন ? নাকি বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে খুন, তা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে ৷ মৃত সমীর থান্দারের 3 স্ত্রী ৷ দুই স্ত্রী রিতা দাস ও মামনি থান্দার বলেন, "রাতে ফোনে খবর পাই যে একটা ঝামেলা হচ্ছে ৷ তারপর শুনলাম পিটিয়ে মেরেছে ৷ এর আগেও মারামারি হয়েছে ৷ কী কারণে খুন হল তার কিছুই জানি না ৷ কোনও কারণ বুঝতে পারছি না ৷ উত্তরনারায়ণ পুরের লোকেরাই মেরেছে ৷ ওদের শাস্তি চাই ।"
তৃণমূলের বোলপুর ব্লক সভাপতি মিহির রায় বলেন, "খুনের কারণ জানতে পারছি না ৷ তবে দলের কোনও বিষয় নয় ৷ যারা মেরেছে, তারা অন্যায় করেছে ৷ পুলিশকে যেন তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেয় ৷" কংকালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান মহম্মদ ওহিউদ্দিন ওরফে মামন বলেন, "আমাদের দলের সদস্যের মৃত্যু হয়েছে । তবে এর সঙ্গে কোনও রাজনীতির কোনও যোগ নেই ৷ নৃশংস ঘটনা ৷ যারা অভিযুক্ত, তাদের গ্রেফতারির দাবি জানিয়েছি ৷"