কলকাতা, 5 ডিসেম্বর: কলকাতা হাইকোর্ট থেকে অনুমতি নিয়ে সভা করতে হচ্ছে সাধুদের ৷ অথচ তৃণমূল কংগ্রেসের সভা করতে কোনও অনুমতি লাগে না ৷ এই বিষয়ে কটাক্ষ করে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "ওপারের ইউনুস যাহা, এপারের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাহা ৷"
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন সারা বিশ্ব ৷ আক্রান্ত হচ্ছেন হিন্দু-সহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ ৷ বৃহস্পতিবার ফের এনিয়ে মুখ খুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ এদিন বিধানসভায় শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "বাংলাদেশে প্রতিদিন সংখ্যালঘু হিন্দুরা আক্রান্ত হচ্ছেন ৷ বনগাঁ বর্ডারে এসে মহিলারা আতঙ্কে কান্নাকাটি করছেন ৷ তাই আদালত থেকে অনুমতি নিয়ে ওখানকার হিন্দুদের কর্মসূচিগুলিতে অংশগ্রহণ করা উচিত ৷"
তিনি আরও বলেন, "সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক বিষয়, গত 29 নভেম্বর সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী মাদ্রাসার শিশুদের যে রানি রাসমণিতে জড়ো করেছিল, তার জন্য তাঁকে আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়নি ৷ এরপর ফিরহাদ হাকিম এবং কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলকে নিয়ে বৈঠক করেছিল, তাঁদেরও আদালতে যেতে হয়নি ৷ অথচ হিন্দু সন্ন্যাসীদের আজ আদালত থেকে অনুমতি নিয়ে রানি রাসমণিতে সভা করতে হচ্ছে ৷ আসলে ওপারের ইউনুস যাহা, এপারের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাহা ৷"
বঙ্গ বিজেপির অন্যতম শীর্ষ নেতা আরও বলেন, "এটা একটা অরাজনৈতিক সভা, তাই দলীয় পতাকা ও ঝান্ডা ছাড়া সবাই যেতে পারেন ৷ আমি হিন্দু, আমি যাব ৷ আমার সঙ্গে যাঁদের যোগাযোগ আছে, তাঁদের সবাইকে অনুরোধ করেছি আজ আসার জন্য ৷ 1971 সালে পাকিস্তানকে সরাতে দেড় বছর লেগেছিল ৷ এখানেও একই সময় লাগবে ৷"
বাংলাদেশে মহিলারা যেন বাজারে না যান, সেই নিয়ে ফতোয়া জারি করা হয়েছে ৷ এই বিষয়ে বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "যে তালিবানি সরকার সংবিধান বদলে বাংলাদেশের মানুষের ব্যক্তিগত আইনের উপর হস্তক্ষেপ করছে বলেই মনে করছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷