কলকাতা, 19 অক্টোবর: বিমা ক্ষেত্র থেকে জিএসটি (GST) প্রত্যাহারের সংকেত পেয়েই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে লেখা চিঠি প্রকাশ করে মনে করালেন যে, তাঁরাই প্রথম এই দাবি জানিয়েছিলেন। আর তাঁদের চাপের কাছেই আত্মসমর্পণ করল কেন্দ্রীয় সরকার।
বিমা তথা স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে জিএসটি প্রত্যাহারের জন্য আগেই দাবি জানিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইমত তিনি চিঠিও দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে। জীবন ও স্বাস্থ্য বিমায় জিএসটি তুলে দেওয়ার পথে যখন কেন্দ্রীয় সরকার অগ্রসর হয়েছে, তখন নিজের লেখা পুরনো চিঠিকে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করিয়ে দিলেন, তিনি এই বিষয়টি বিবেচনার জন্য প্রথম দাবি জানিয়েছিলেন
লোকসভা ভোটের পর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিমায় জিএসটি প্রত্যাহারের দাবিতে চিঠি দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে। গত অগস্ট মাসের সেই চিঠি শনিবার সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর সঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, "আমাদের প্রচেষ্টায় সারা দিয়েই কেন্দ্রীয় সরকার শেষ পর্যন্ত জীবন তথা স্বাস্থ্য বিমার উপর থেকে 18 শতাংশ জিএসটি প্রত্যাহারের পথে হাঁটতে চলেছে। অবশেষে আমাদের চাপের মুখে আত্মসমর্পণ করছে কেন্দ্রীয় সরকার।"
তিনি আরও লিখেছেন, "আমি ব্যক্তিগতভাবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে লিখেছিলাম ও সতর্ক করে দিয়েছিলাম। বলেছিলাম, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিমার উপর 18% জিএসটি রাখার সিদ্ধান্ত কীভাবে সাধারণ মানুষদের বিমা কভারেজ সুরক্ষিত বা বজায় রাখার পরিপন্থী হবে। কাজেই বিষয়টিকে প্রত্যাহার করা হোক। আমরা বরাবরই জনগণের স্বার্থকে সবার আগে রাখার ক্ষেত্রে বদ্ধপরিকর। তবে জিএসটি কাউন্সিলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানার জন্য অপেক্ষা করছি ৷" GST কাউন্সিলের মন্ত্রী গোষ্ঠীর দ্বারা এদিন যে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে তা তাৎপর্যপূর্ণ, যদিও এটি কোনও সদিচ্ছা থেকে বেরিয়ে আসছে না বলেই অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর।
মমতা লিখছেন, তৃণমূল কংগ্রেস তথা তাঁর দলের টানা চাপের সামনে কেন্দ্র এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছে। তিনি এও জানিয়েছেন, তৃণমূল কংগ্রেস আগেই বলেছিল যে, কোনওভাবেই দল জনবিরোধী কোনও নীতিকে সমর্থন করবে না। সরকারের সিদ্ধান্ত যদি শেষ পর্যন্ত কার্যকর হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করছেন দেশের গরীব সাধারণ মানুষের জন্য তা অত্যন্ত স্বস্তিদায়ক হবে।