কলকাতা, 25 জুলাই: ফের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ। কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সান্ধ্য বিভাগের ছাত্রকে ব়্যাগিং করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে । অভিযোগের তির বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হস্টেলের দিকে। বর্তমানে ওই ছাত্র ভর্তি রয়েছেন কেপিসি মেডিক্যাল কলেজে। তবে তিনি কোন বর্ষের ছাত্র তা বিশ্ববিদ্যালয় ওখনও জানায়নি ৷ এ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, "আমার কাছে এই সংক্রান্ত কোনও খবর নেই ৷ আচার্য'র নিযুক্ত করা উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছেন ৷ তিনিই বিষয়টির জবাব দিন ৷"
ঘটনাটি ঘটেছে, বুধবার সন্ধ্যাবেলায়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক চূড়ান্ত বর্ষের এক ছাত্রীর কথায়, "আমরা শুনেছি ওই ছেলেটি নাকি হস্টেলে কারোর ল্যাপটপ চুরি করেছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সন্ধ্যেবেলায় প্রায় 70-80 জন মিলে ওই ছেলেটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে ছেলেটি ৷ বিষয়টি জানাজানি হতেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট মিতালি দেব হস্টেলে যান।" মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট যাওয়ার একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয় সোশালে ৷ যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি ইটিভি ভারত ৷
মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট মিতালি দেবের অভিযোগ, প্রথমে তাঁকে ওই ছেলেটির কাছে যেতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। পরে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে প্রবেশ করেন। একটি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে সেই বিশ্ববিদ্যালয় যান। সেখানে গিয়ে তিনি দেখতে পান ছেলেটি অসুস্থ অবস্থায় বসে রয়েছেন। তাঁকে ঘিরে বসেছিল কয়েকজন পড়ুয়া। তিনি বলেন, "কোনও ব়্যাগিং নয়, কোনও নিগ্রহ হয়নি। ছেলেটি ভয় পাচ্ছে এবং অসুস্থ বলেই আমি গিয়েছিলাম হস্টেলে। যখন আমি গিয়েছিলাম, তখন দেখতে পাই আহত ছাত্রকে কাগজে কিছু লেখানো হচ্ছে ৷ সে তখন অসুস্থ ছিল, তাই আমি কাগজটা ছিঁড়ে ফেলি ৷"
যদিও এই মুহূর্তে ওই ছাত্র ভর্তি রয়েছেন কিপিসি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। তাঁর পরিবারের লোক ইতিমধ্যেই পৌঁছেছে সেখানে। ছেলেটির শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আশ্বাস, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। প্রসঙ্গত, ঠিক এক বছর আগে ব়্যাগিংয়ের অভিযোগে মৃত্যু হয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের বাংলা বিভাগের এক ছাত্রের। পরবর্তীতে সেই জল অনেক দূর গড়ায় ৷ কিছুদিন আগে তৈরি করা হয়েছে অ্যান্টি ব়্য়াগিং কমিটি এবং অ্যান্টি ব়্য়াগিং স্কোয়াড। কিন্তু, তার পরও ফের ব়্য়াগিংয়ের অভিযোগ দেশ তথা রাজ্যের অন্যতম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে।