জলপাইগুড়ি, 26 নভেম্বর: জেলার প্রাচীন রাভা জনজাতির আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে পর্যটনকে হাতিয়ার করতে চলেছে প্রশাসন । রাভা বস্তিতে হোমস্টে তৈরি করার পাশাপাশি এই জনগোষ্ঠীর শিল্প সংস্কৃতিকে পর্যটকদের সামনে তুলে ধরারও ব্যবস্থা করা হচ্ছে । শুধু তাই নয়, আগামী দিনে এই জনজাতির উন্নয়নে আরও কী কী করা যেতে পারে, সেই বিষয়েও চিন্তাভাবনা চলছে । এদিকে, পর্যটনের মাধ্যমে রাভা জনজাতির মানুষদের উন্নয়নে প্রশাসনিক পদক্ষেপকে স্বাগত জানানো হয়েছে রাভাদের পক্ষ থেকেও ।
জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি ব্লকের খুকলুং বস্তি, গোসাইহাট এবং বানারহাট ব্লকের মেলা বস্তি ও মোগোলকাটা চা-বাগান এলাকায় রাভা জনগোষ্ঠীর বসবাস । জেলায় প্রায় 2800 থেকে 2900 জন রাভা জনজাতির মানুষ রয়েছে । আধুনিকতার যুগেও রাভা জনগোষ্ঠী তাদের শিল্পকর্ম থেকে সরে আসেনি। বিভিন্ন সরকারি অনুষ্ঠানে রাভা জনজাতির মানুষ তাদের সংস্কৃতি তুলে ধরেন । যে কারণে পর্যটকদের মধ্যেও রাভা জনজাতির মানুষের কৃষ্টির বিষয়ে জানতে চাওয়ার উৎসাহও কম নয় । তাদের চিনতে ও জানতে চান পর্যটকরা ৷ সেই বিষয়টি মাথায় রেখে জেলা পর্যটন বিভাগ ইতিমধ্যেই ওয়েস্ট বেঙ্গল হোম স্টে পলিসির আওতায় এই এলাকায় হোমস্টে তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে ।
এই উদ্যোগে খুশি রাভারাও ৷ রাভা ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক রবি রাভা বলেন, "সরকারের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই ।" কৃষিকাজ করেই জীবিকা নির্বাহ করেন রাভা জনজাতির মানুষেরা । পর্যটনের মাধ্যমে এই জনজাতিকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার । তারাও পর্যটন বিকাশে বিভিন্ন পরিকল্পনা করেছে । হোমস্টে তৈরির আবেদন করা হয়েছে । পাশাপাশি পর্যটকেরা এলে তাঁদের আপ্যায়ন করা হবে রাভা জনজাতির খাবারের মাধ্যমে । এছাড়াও তুলে ধরা হলে তাঁদের কৃষ্টি ও সংস্কৃতি ৷
জলপাইগুড়ি জেলা অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের আধিকারিক প্রবীণ লামা জানিয়েছেন, "রাভাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে আমরা বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছি । হোমস্টের পাশাপাশি পর্যটকদের কাছে রাভাদের শিল্প-সংস্কৃতি কীভাবে তুলে ধরা যায় তাও দেখা হচ্ছে ।"