সোনামুখী, 20 সেপ্টেম্বর: সোনামুখী ব্লকের রাধামোহনপুরের বেশকিছু এলাকা ডিভিসির ছাড়া জলে প্লাবিত হয়েছিল। মানা, কেনেটি, উত্তর নিত্যানন্দপুর ও পাণ্ডেপাড়ার মতো বহু এলাকা চলে যায় জলের তলায় ৷ জলে ডুবে গিয়েছিল এলাকার ঘরবাড়ি রাস্তাঘাট এবং বিঘার পর বিঘা চাষের জমি। ধীরে ধীরে জল নামে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিপদের দিনে এলাকার বিধায়ক দীবাকর ঘরামি তাঁদের পাশে ছিলেন না। তাই শুক্রবার এলাকার বিজেপি বিধায়ক গেলে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা ৷
এলাকা থেকে জল নেমে যাওয়ার পর সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামি আজ সকাল থেকেই এলাকার বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে পরিদর্শন করেন। সমিতির এলাকাগুলি পরিদর্শন করে বিধায়ক যখন পাণ্ডেপাড়ায় যান তখনই এলাকার মানুষ তাঁকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ৷ বিধায়কের অনুগামীদের সঙ্গেও বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন স্থানীয়রা।
তাঁদের প্রশ্ন, যখন এলাকাগুলি জলের তলায় ছিল তখন কেন বিধায়ক আসেনি? আজ বন্যার জল নামার পর কী কারণে এসেছেন ? পাশাপাশি কোনওরকম ত্রাণ সামগ্রী না-নিয়ে বিধায়ক কেন খালি হাতে এসেছেন তা নিয়েও ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয়রা। সমগ্র ঘটনা নিয়ে সোনামুখী বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামি জানান, তাঁর শারীরিক অসুস্থতার কারণে এই ক'দিন তিনি বাইরে ছিলেন তাই এলাকায় আসতে পারেনি। বাড়ি ফিরে এসেই বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করতে এসেছেন। তিনি বিক্ষোভের কথা উড়িয়ে দিয়ে বলেন, "মানুষ আমাকে ভালোবাসে তাই অভিযোগ জানিয়েছেন ৷ সমস্যার কথা জানিয়েছেন ৷ সরকার সমস্ত মানুষকে ত্রাণ দেয়নি বলে মানুষের বিক্ষোভ ৷"
অন্যদিকে, এই ঘটনা নিয়ে বিজেপি বিধায়ককে তীব্র কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি বিক্রমজিৎ চট্টোপাধ্যায় জানান, চারদিন ধরে এলাকা বন্যা কবলিত ছিল ৷ বিজেপি বিধায়কের দেখা মেলেনি ৷ তৃণমূল এবং প্রশাসন এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। এলাকা থেকে জল নেমে যাওয়ার পর রাজনীতি এবং নাটক করার জন্য বিধায়ক এলাকায় এসেছেন বলে মানুষ তাঁকে দেখে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।"