বনগাঁ, 4 জুন: রাজ্যে তেমন ভালো ফল করতে পারেনি বিজেপি। হেভিওয়েট নেতা থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সবুজ ঝড়ে কুপোকাত হয়েছে। তবে সেই তালিকায় ব্যতিক্রমী বনগাঁ লোকসভার বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। তার নিকটবর্তী প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূলের বিশ্বজিৎ দাস 73 হাজার 693 ভোটে পরাজিত করেছেন।
শান্তনু ঠাকুর বনগাঁ লোকসভার 7টি বিধানসভার মধ্যে সব থেকে বেশি ভোটের ব্যবধান হয়েছে বাগদা এবং গাইঘাটায়। বনগাঁ লোকসভায় এই দুই কেন্দ্রেই মতুয়া সম্প্রদায়ের বাস বেশি। ফলে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি মতুয়া ভোট-ই শান্তনু ঠাকুরের জয়ের মূলে? মতুয়া ভোট যে তিনি পেয়েছেন তা দাবিও করেছেন শান্তনু ঠাকুর। এক বিশেষ প্রেক্ষাপটে এবার বনগাঁ লোকসভার ভোট হয়েছে। একদিকে যেমন শান্তনু ঠাকুর মতুয়া ধর্মমেলার সময় বড়মা বীণাপানি ঠাকুরের ঘর দখল নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। অন্যদিকে, মতুয়াদের নাগরিকত্ব।
এই দুই ইসুতে কার্যত শান্তনু ঠাকুরকে কুপোকাত করতে চেয়েছিল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। তারা বরাবরই বলে গিয়েছে, নাগরিকত্বের নামে মতুয়াদের বেনাগরিক করার চক্রান্ত করছে বিজেপি। যদিও বিজেপি বরাবরই বলেছে, সিএএ মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়ার আইল। সিএএ নিয়ে দুই দলের এই ভিন্ন মতে কার্যত মতুয়ারা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছিল। সেখান থেকেই প্রশ্ন উঠেছিল যে মতুয়া ভোটে বনগাঁ লোকসভার প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হয়, সেই মতুয়া ভোট কাদের দিকে ঝুঁকবে।
নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গেল শেষ হাসি হাসলেন শান্তনু ঠাকুর। অনেকেই মনে করছেন তাঁর এই জয়ের ক্ষেত্রে মতুয়া ভোট বড় ভূমিকা নিয়েছে ৷ যদি শান্তনু ঠাকুর দাবি করেছেন, তিনি মতুয়া ভোট পেয়েছেন ঠিকই কিন্তু তাঁর এই জয় এসেছে ঐক্যবদ্ধ লাড়াইয়ে ৷