ETV Bharat / state

মুখ্যমন্ত্রী-জুনিয়র ডাক্তার ফোনে কথা ইতিবাচক, মত নির্যাতিতার মা-বাবার - RG KAR DOCTOR RAPE AND MURDER

ন্যায় যাত্রায় অংশ নিলেন আরজি কর-কাণ্ডে নির্যাতিতার বাবা-মা ৷ সেখান থেকেই সিবিআই তদন্তে আস্থা রাখার কথা বললেন তাঁরা ৷

RG KAR DOCTOR RAPE AND MURDER
সিবিআই তদন্তে আস্থা রাখছেন আরজি করে নির্যাতিতার বাবা-মা ৷ (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 19, 2024, 8:03 PM IST

সোদপুর, 19 অক্টোবর: দু'মাসেরও বেশি সময় অতিক্রান্ত ৷ আরজি কর-কাণ্ডে এখনও সুবিচার পায়নি নির্যাতিতা চিকিৎসক পড়ুয়ার পরিবার ৷ সেই নিয়ে এবার আক্ষেপের সুর আরজি করের নির্যাতিতা বাবা-মায়ের গলায় ৷ তবে, সিবিআইয়ের উপর আস্থা রাখছেন দু’জনে ৷ এমনকি আজ অনশনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ফোনে কথা হওয়ার বিষয়টিকে ইতিবাচক দিক হিসেবে দেখছেন তাঁরা ৷

নির্যাতিতার মায়ের বক্তব্য, "আন্দোলন তো করতেই হবে ৷ কারণ, বিচার এখনও অধরা ৷ আমার মেয়ের সঙ্গে সেদিন কী ঘটেছিল, তা নিয়ে এখনও অন্ধকারে আমরা ৷ জানতে পারিনি এতদিন পরেও ৷" তবে, মেয়ের মৃত্যুর বিচার পেতে আন্দোলনের পথ থেকে এখনই যে তাঁরা সরে আসছেন না, তা ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছে নির্যাতিতার পরিবার ৷

মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা ইতিবাচক বলে জানালেন আরজি করে নির্যাতিতার বাবা-মা ৷ (নিজস্ব চিত্র)

আরজি করে নিহত চিকিৎসক পড়ুয়ার সুবিচারের দাবিতে শনিবার সোদপুরের এইচবি টাউন থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত 'ন‍্যায় বিচার যাত্রার' ডাক দেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা ৷ সেই কর্মসূচিতে নাগরিক সমাজকেও সামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন তাঁরা ৷ তাতে সাড়া দিয়ে পা মেলান সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষজন ৷ সামিল হয়েছিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা ৷

সোদপুরের এইচবি টাউন থেকে শুরু হওয়া এই 'ন‍্যায় বিচার যাত্রার' সূচনা করেন নিহত চিকিৎসক পড়ুয়ার বাবা-মা । কর্মসূচির ফাঁকে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নির্যাতিতার বাবা বলেন, "আমার মেয়ের মৃত্যুর সুবিচারের জন্য এঁরা এত কষ্ট করছে ৷ আমাদের দাবি পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছে ৷ সেটা দেখে ভালো লাগছে ৷ এটা একটা শুভ ইঙ্গিতও বটে ৷"

আরজি করের নির্যাতিতার বাবা বলেন, "আমাদের আরও ধৈর্য্য ধরতে হবে ৷ কারণ সিবিআই আমাদের আশ্বস্ত করেছে ৷ কোর্টও বলেছে সিবিআইকে সময় দিতে হবে ৷ তাই, সিবিআইয়ের উপর আমাদের একশো শতাংশ ভরসা রয়েছে ৷ তাঁরা বসে নেই ৷ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে ৷"

কিন্তু, এখনও পর্যন্ত আরজি করের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে একজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ সেই বিষয়ে নির্যাতিতার বাবা বলেন, "সেটা ঠিকই ৷ কিন্তু, সিবিআই তার কাজ করছে ৷ এই ঘটনায় আর যাঁরা যুক্ত, তাঁদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে ৷"

মুখ্যমন্ত্রী আজ অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন ৷ এ নিহত চিকিৎসক পড়ুয়ার বাবা বলেন, "এটা তো ভালো উদ্যোগ ৷ আলোচনায় বসুক দু'পক্ষই ৷ সেটা আমরাও চাই ৷ ওঁরা তো মুখ্যমন্ত্রীর কাছেই ওঁদের যাবতীয় সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন ৷ তাই, আলোচনা করে এই সমস্যার সমাধান করা হোক ৷"

আপনারা কী জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন উঠে যাক, সেটা চান ? এই প্রশ্নের জবাবে নির্যাতিতার বাবা বলেন, "আমরাও চাই জুনিয়র ডাক্তাররা আমরণ অনশন তুলে নিয়ে রিলে অনশন আন্দোলন করুক ৷ অনশন হল আন্দোলনের শেষ অস্ত্র ৷ তার উপর আমরণ অনশন করা মানেই মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া ৷ আমরা ওঁদের সবসময় বলেছি, কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে, যেন সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে যায় ৷ সেখানে অন‍্য কেউ তাঁর জায়গায় অনশনে বসে ৷ তবে, এই অচলাবস্থা কাটাতে সমস্যার সমাধান হওয়া প্রয়োজন ৷"

এদিকে,অনশনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের মুখ্যমন্ত্রীর ফোনকে স্বাগত জানিয়েছেন নির্যাতিতার মা ৷ তিনি বলেন, "আমিও চাইছিলাম মুখ্যমন্ত্রী ওঁদের সঙ্গে মধ্যস্থতা করুন ৷ ওঁরা এতদিন ধরে আন্দোলন করছে, অনশনে বসেছে ৷ এটা আমারও খারাপ লাগছে ৷ আমি চাই, এই অচলাবস্থার সুষ্ঠু সমাধান হোক ৷ আলোচনা করে সমস্যার মীমাংসা হলে, আমারও ভালো লাগবে ৷ এত মানুষ পাশে থাকায় আমাদেরও মনের জোর বেড়েছে ৷"

সোদপুর, 19 অক্টোবর: দু'মাসেরও বেশি সময় অতিক্রান্ত ৷ আরজি কর-কাণ্ডে এখনও সুবিচার পায়নি নির্যাতিতা চিকিৎসক পড়ুয়ার পরিবার ৷ সেই নিয়ে এবার আক্ষেপের সুর আরজি করের নির্যাতিতা বাবা-মায়ের গলায় ৷ তবে, সিবিআইয়ের উপর আস্থা রাখছেন দু’জনে ৷ এমনকি আজ অনশনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ফোনে কথা হওয়ার বিষয়টিকে ইতিবাচক দিক হিসেবে দেখছেন তাঁরা ৷

নির্যাতিতার মায়ের বক্তব্য, "আন্দোলন তো করতেই হবে ৷ কারণ, বিচার এখনও অধরা ৷ আমার মেয়ের সঙ্গে সেদিন কী ঘটেছিল, তা নিয়ে এখনও অন্ধকারে আমরা ৷ জানতে পারিনি এতদিন পরেও ৷" তবে, মেয়ের মৃত্যুর বিচার পেতে আন্দোলনের পথ থেকে এখনই যে তাঁরা সরে আসছেন না, তা ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছে নির্যাতিতার পরিবার ৷

মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা ইতিবাচক বলে জানালেন আরজি করে নির্যাতিতার বাবা-মা ৷ (নিজস্ব চিত্র)

আরজি করে নিহত চিকিৎসক পড়ুয়ার সুবিচারের দাবিতে শনিবার সোদপুরের এইচবি টাউন থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত 'ন‍্যায় বিচার যাত্রার' ডাক দেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা ৷ সেই কর্মসূচিতে নাগরিক সমাজকেও সামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন তাঁরা ৷ তাতে সাড়া দিয়ে পা মেলান সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষজন ৷ সামিল হয়েছিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা ৷

সোদপুরের এইচবি টাউন থেকে শুরু হওয়া এই 'ন‍্যায় বিচার যাত্রার' সূচনা করেন নিহত চিকিৎসক পড়ুয়ার বাবা-মা । কর্মসূচির ফাঁকে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নির্যাতিতার বাবা বলেন, "আমার মেয়ের মৃত্যুর সুবিচারের জন্য এঁরা এত কষ্ট করছে ৷ আমাদের দাবি পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছে ৷ সেটা দেখে ভালো লাগছে ৷ এটা একটা শুভ ইঙ্গিতও বটে ৷"

আরজি করের নির্যাতিতার বাবা বলেন, "আমাদের আরও ধৈর্য্য ধরতে হবে ৷ কারণ সিবিআই আমাদের আশ্বস্ত করেছে ৷ কোর্টও বলেছে সিবিআইকে সময় দিতে হবে ৷ তাই, সিবিআইয়ের উপর আমাদের একশো শতাংশ ভরসা রয়েছে ৷ তাঁরা বসে নেই ৷ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে ৷"

কিন্তু, এখনও পর্যন্ত আরজি করের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে একজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ সেই বিষয়ে নির্যাতিতার বাবা বলেন, "সেটা ঠিকই ৷ কিন্তু, সিবিআই তার কাজ করছে ৷ এই ঘটনায় আর যাঁরা যুক্ত, তাঁদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে ৷"

মুখ্যমন্ত্রী আজ অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন ৷ এ নিহত চিকিৎসক পড়ুয়ার বাবা বলেন, "এটা তো ভালো উদ্যোগ ৷ আলোচনায় বসুক দু'পক্ষই ৷ সেটা আমরাও চাই ৷ ওঁরা তো মুখ্যমন্ত্রীর কাছেই ওঁদের যাবতীয় সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন ৷ তাই, আলোচনা করে এই সমস্যার সমাধান করা হোক ৷"

আপনারা কী জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন উঠে যাক, সেটা চান ? এই প্রশ্নের জবাবে নির্যাতিতার বাবা বলেন, "আমরাও চাই জুনিয়র ডাক্তাররা আমরণ অনশন তুলে নিয়ে রিলে অনশন আন্দোলন করুক ৷ অনশন হল আন্দোলনের শেষ অস্ত্র ৷ তার উপর আমরণ অনশন করা মানেই মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া ৷ আমরা ওঁদের সবসময় বলেছি, কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে, যেন সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে যায় ৷ সেখানে অন‍্য কেউ তাঁর জায়গায় অনশনে বসে ৷ তবে, এই অচলাবস্থা কাটাতে সমস্যার সমাধান হওয়া প্রয়োজন ৷"

এদিকে,অনশনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের মুখ্যমন্ত্রীর ফোনকে স্বাগত জানিয়েছেন নির্যাতিতার মা ৷ তিনি বলেন, "আমিও চাইছিলাম মুখ্যমন্ত্রী ওঁদের সঙ্গে মধ্যস্থতা করুন ৷ ওঁরা এতদিন ধরে আন্দোলন করছে, অনশনে বসেছে ৷ এটা আমারও খারাপ লাগছে ৷ আমি চাই, এই অচলাবস্থার সুষ্ঠু সমাধান হোক ৷ আলোচনা করে সমস্যার মীমাংসা হলে, আমারও ভালো লাগবে ৷ এত মানুষ পাশে থাকায় আমাদেরও মনের জোর বেড়েছে ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.