কলকাতা, 18 জুন: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ফের একবার মানবিক বিএসএফ ও বিজিবি ৷ বাংলাদেশের আত্মীয়দের মৃত ভারতীয় ব্যক্তিকে শেষবার দেখার ব্যবস্থা করে দেওয়া হল দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর তরফে ৷ মঙ্গলবার নদিয়ার বাঁশঘাটা এলাকার 107 নম্বর বিএসএফ ব্যাটালিয়ন নজরদারিতে এই ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ বিএসএফ ও বিজিবি’র যৌথ উদ্যোগে নিকট আত্মীয়কে শেষবারের মতো দেখতে পাওয়ায় ধন্যবাদ জানিয়েছেন মৃতের পরিজনেরা ৷
সূত্রের খবর, সোমবার মধ্যরাতে নদিয়ায় সীমান্তবর্তী গ্রাম বাঁশঘাটার বাসিন্দা মহম্মদ আরশাফ শেখ মারা যান ৷ তাঁর পরিবারের সদস্য ময়না শেখ সীমান্ত চৌকির বিএসএফ কোম্পানি কমান্ডারকে জানান, মহম্মদ আরশাফ শেখ মারা গিয়েছেন ৷ তাঁর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে ৷ কিন্তু, মৃতের পরিজন তথা ভাই-বোনেরা বাংলাদেশে থাকেন ৷ তিনি বিএসএফকে অনুরোধ করেন, বাংলাদেশে থাকা পরিজনরা মহম্মদ আরশাফ শেখকে শেষবারের মতো দেখতে চান ৷ সেই অনুরোধের প্রেক্ষিতে বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার মানবিক দিক বিবেচনা করে, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ৷
বিএসএফের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বিজিবিও মানবিকতার দিকটি বিচার করে এগিয়ে আসে ৷ উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী, মানবিক দিকটিকে সর্বাগ্রে রেখে, মহম্মদ আরশাফ শেখের আত্মীয়দের, তাঁকে দেখার ব্যবস্থা করে দেয় আন্তর্জাতিক সীমান্তের জিরো লাইনে ৷ সেখানে বিএসএফ ও বিজিবি’র কড়া নিরাপত্তায় দেহ জিরো লাইনে রাখা হয় ৷ আর সেখানেই বাংলাদেশের নাগরিক আত্মীয়রা মহম্মদ আরশাফ শেখকে শেষবারের মতো দেখেন ৷ সেখানে শেষ বিদায়ের সময় পরিবেশ ছিল থমথমে ৷ সকলেই বিএসএফ ও বিজিবি’র এই মানবিকতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন ৷
বিএসএফ-এর দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের জনসংযোগ আধিকারিক ডিআইজি একে আর্য বলেন, সামাজিক ও মানবিক মূল্যবোধের প্রতি বাহিনী প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ৷ তিনি জোর দিয়েছেন, যে দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিএসএফ দিনরাত সীমান্তে মোতায়েন রয়েছে ৷ আর সীমান্তরক্ষী বাহিনী জনগণের মানবিক সমস্যায় সর্বদা এগিয়ে আসতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ৷