গুড়াপ, 17 অগস্ট: আরজি কর-কাণ্ডে চোখের জলে জলে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তার জন্য বিরোধীদের সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছে তাঁকে ৷ শনিবার হুগলির গুড়াপে এসে বিরোধীদের সেইসব কটাক্ষের যোগ্য জবাব দিলেন তিনি ৷
রচনার কথায়,"এই ধরনের দুঃখজনক ও নিন্দনীয় ঘটনা চিন্তা করলে মানুষের চোখে জল আসে । আর সেটাতে রাজনীতির রঙ লাগাচ্ছে সিপিএম ও বিজেপি । এরা কোমরে দড়ি বেঁধে কে কী করছে সেদিকে নজর রাখছে । সেটা না করে আসুন আমরা সুবিচারের জন্য চেষ্টা করি । তাহলেই নির্যাতিতার পরিবার থেকে সকলেরই ভালো হবে । আমরা যদি মেয়েটির মা বাবার পাশে গিয়ে দাঁড়াই সেটাই সবচেয়ে ভালো হবে ।"
এরপর বিরোধীদের নিশানা করে একটু ভারী গলায় তাঁর সংযোজন, "কোথায় কখন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় চোখের জল ফেলল, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত শাঁখ বাজাল, সেটা নিয়ে সমালোচনা না করাই ভালো । বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরা অনেক বড় বড় মঞ্চে গিয়ে তাঁরা বক্তব্য রাখেন । আমাদের মতো শিল্পীদের নিয়ে সমালোচনা করা, এটা আপনাদের শোভা পায় না । গলাবাজি করে কিছু সুবিচার পাওয়া যায় না । সুবিচার পেতে গেলে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হয় ।"
আরজি করের ঘটনা নিয়ে পুলিশের ভূমিকায় গিয়ে প্রশংসা শোনা গেল রচনার গলায় ৷ এ দিন তিনি বলেন,"পুলিশ আছে বলেই আরজি কর-কাণ্ডে দু'দিনের মধ্যে গ্রেফতার হয়েছে একজন । পশ্চিমবাংলার পুলিশ সব সময় সুবিচারের জন্য কাজ করে । তাদেরকে ছোট করে দেখানোর কাজ হচ্ছে রাজ্যের বিরোধীদের । পুলিশকে কখনও মাথা ভেঙে দিচ্ছে ,কখনও পুলিশকে মারছে । এটা বিরোধীপক্ষের শোভা পায় না । এসব আমরা সমর্থন করতে পারি না । আমাদের পুলিশের উপর 100 শতাংশ আস্থা আছে । পুলিশ যদি দায়িত্ব নেয় অবশ্যই আসল অপরাধী কে, তা খুঁজে বার করবে । তবে পুলিশের উপর দায়িত্ব দিতে হবে ও আস্থা রাখতে হবে ।"
গুড়াপে পলাশী হেমাঙ্গিনী সরোজিনী বিদ্যামন্দিরে সাইকেলের গ্যারেজ উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে আসেন হুগলির সাংসদ তৃণমূলের রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় । সেখান থেকেই তিনি রাজ্যজুড়ে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের বার্তা দেন, "আমরা জানি আরজি কর-কাণ্ডে চিকিৎসকরা ভীষণভাবে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন । তা সত্ত্বেও আমরা অনুরোধ করব, রোগীদের স্বার্থে, মানুষের সেবার জন্য তাঁদের পাশে গিয়ে দাঁড়ান । অবশ্যই নির্যাতিতার পরিবার সুবিচার পাবে ।"