ETV Bharat / state

জলের অপচয় রুখতে এবার বিধানসভায় বিল আনতে চাইছে রাজ্য: মন্ত্রী পুলক রায় - bill to stop wastage of water - BILL TO STOP WASTAGE OF WATER

bill to stop wastage of water: জলের অপচয় রুখতে এবার বিধানসভায় বিল আনতে চাইছে রাজ্য সরকার ৷ আজ একথা জানিয়েছেন রাজ্যের জনস্বাস্থ্য এবং কারিগরি মন্ত্রী পুলক রায় ।

ETV BHARAT
জলের অপচয় রুখতে এবার বিধানসভায় বিল আনতে চাইছে রাজ্য (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jul 31, 2024, 7:53 PM IST

কলকাতা, 31 জুলাই: আগামী বছর 31 ডিসেম্বরের মধ্যে রাজ্যের প্রত্যেক প্রান্তে পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে রাজ্য সরকার । কিন্তু শুধু পরিশ্রুত পানীয় জল বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিলেই হবে না, এই মুহূর্তে সরকারের প্রধান চিন্তার কারণ জল অপচয় রোখা । যেভাবে ভূগর্ভস্থ জলের পরিমাণ কমছে, তাতে যথেষ্টই চিন্তা বাড়ছে রাজ্য সরকারের । আর সে কারণেই এবার জলের অপচয় রুখতে আইন আনতে চাইছে রাজ্য সরকার ।

বুধবার রাজ্য বিধানসভায় সে কথা জানিয়েছেন রাজ্যের জনস্বাস্থ্য এবং কারিগরি মন্ত্রী পুলক রায় । তবে এই নতুন আইনে শাস্তির বিধান থাকছে কি না, সে বিষয়ে তিনি মুখ খোলেননি । এদিন প্রশ্নোত্তর পর্বে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর নিয়ে একাধিক প্রশ্ন ছিল । সেখানেই মন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্যের কিছু কিছু ব্লককে ভূগর্ভস্থ জলের আর্সেনিক দূষণ ও ফ্লোরাইড দূষণ কবলিত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে । আটটা জেলার 83টি ব্লক আর্সেনিক কবলিত । চারটে জেলার 43টি ব্লক ফ্লোরাইড দূষণ কবলিত বলে বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে জানিয়েছেন রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী পুলক রায় ।

ওই ব্লকগুলিতে অগভীর স্তরের পানীয় জল সরবরাহের লক্ষ্যে নলকূপ স্থাপনের জন্য সরকার পদক্ষেপ করেছে । তিনি জানান, এই মুহূর্তে রাজ্যে 217 জলপরীক্ষা কেন্দ্র রয়েছে । তার মধ্যে 216টি এনএবিএল স্বীকৃত । পুরুলিয়ার পাঁচটি ব্লকে ফ্লোরাইডমুক্ত জল সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে । দুই 24 পরগনা, বাঁকুড়া, পূর্ব মেদিনীপুরেও আর্সেনিক ও ফ্লোরাইড মুক্ত জল পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছে ।

এদিন তিনি জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত 90 লক্ষ পরিবারকে পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে । সময়ে জমি পেলে এই পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য যে প্রকল্প চলছে তা সময়েই শেষ হবে । পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহে দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সামগ্রিকভাবে এই মুহূর্তে তৃতীয় স্থানে রয়েছে । তবে শুধুমাত্র চলতি অর্থবছরের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করলে পশ্চিমবঙ্গ প্রথম স্থান উঠে এসেছে ।

মন্ত্রী আরও জানান, এই মুহূর্তে রাজ্যের বেশকিছু অঞ্চলে জলে আয়রন বেশি রয়েছে । তিনি বলেন, এই নিয়ে গবেষণা এবং অনুসন্ধান চলছে ।
এদিন জলস্বপ্ন প্রকল্প নিয়ে বলতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের শেয়ার নিয়েও কটাক্ষ করেছেন মন্ত্রী । বলেন, এই প্রকল্পে কেন্দ্র এবং রাজ্যের শেয়ার ফিফটি ফিফটি । কিন্তু রাজ্যকে জমি কিনতে হয়, রক্ষণাবেক্ষণের খরচ করতে হয় । ফলে আখেরে রাজ্য সরকারের শেয়ার 75%-এ পৌঁছে যায় । তিনি পরিসংখ্যান দিয়ে জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার জলস্বপ্ন প্রকল্পে 12 হাজার 17 কোটি টাকা দিয়েছে । এই প্রকল্পে রাজ্য সরকার খরচ করেছে 11,812 কোটি টাকা ।

মন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, ম্যারাথন নির্বাচন এবং বর্ষার কারণে, উত্তরবঙ্গের বন্যার কারণে এই প্রকল্পের বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বাধা পেতে হচ্ছে । তিনি এদিন জলজীবন মিশনে জমি অধিগ্রহণের ব্যাপারে বিজেপি বিধায়কদের থেকেও সাহায্য চেয়েছেন । এদিন বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরি জানান, জনৈক সজল প্রামাণিককে বিজেপি করার অপরাধে জল সংযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে । উত্তরে মন্ত্রী জানিয়েছেন, 24 ঘণ্টার মধ্যে নির্দিষ্ট অভিযোগ এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে । তাঁর বাড়িতে জল পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে ।

স্কুলগুলিতে পরিশ্রুত পানীয় জল নিশ্চিত করার মন্ত্রীর গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত বলে জানান স্পিকার । জলের অপচয় নিয়েও বিধানসভায় মুখ খুলেছেন মন্ত্রী । মোটর দিয়ে বহু মানুষ জল তুলছে । কেউ নার্সারি, কেউ হ্যাচারি কেউ সেগুলি রেস্তোরাঁয় ব্যবহার করছে। অপচয় বন্ধে এই সদনে বিল নিয়ে আসা হবে বলে এদিন বিধানসভায় জানিয়েছেন মন্ত্রী ৷ একইসঙ্গে তিনি আবেদন করেন, "মানুষকে সচেতন করার দায়িত্ব আমাদের সকলকেই নিতে হবে ।"

কলকাতা, 31 জুলাই: আগামী বছর 31 ডিসেম্বরের মধ্যে রাজ্যের প্রত্যেক প্রান্তে পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে রাজ্য সরকার । কিন্তু শুধু পরিশ্রুত পানীয় জল বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিলেই হবে না, এই মুহূর্তে সরকারের প্রধান চিন্তার কারণ জল অপচয় রোখা । যেভাবে ভূগর্ভস্থ জলের পরিমাণ কমছে, তাতে যথেষ্টই চিন্তা বাড়ছে রাজ্য সরকারের । আর সে কারণেই এবার জলের অপচয় রুখতে আইন আনতে চাইছে রাজ্য সরকার ।

বুধবার রাজ্য বিধানসভায় সে কথা জানিয়েছেন রাজ্যের জনস্বাস্থ্য এবং কারিগরি মন্ত্রী পুলক রায় । তবে এই নতুন আইনে শাস্তির বিধান থাকছে কি না, সে বিষয়ে তিনি মুখ খোলেননি । এদিন প্রশ্নোত্তর পর্বে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর নিয়ে একাধিক প্রশ্ন ছিল । সেখানেই মন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্যের কিছু কিছু ব্লককে ভূগর্ভস্থ জলের আর্সেনিক দূষণ ও ফ্লোরাইড দূষণ কবলিত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে । আটটা জেলার 83টি ব্লক আর্সেনিক কবলিত । চারটে জেলার 43টি ব্লক ফ্লোরাইড দূষণ কবলিত বলে বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে জানিয়েছেন রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী পুলক রায় ।

ওই ব্লকগুলিতে অগভীর স্তরের পানীয় জল সরবরাহের লক্ষ্যে নলকূপ স্থাপনের জন্য সরকার পদক্ষেপ করেছে । তিনি জানান, এই মুহূর্তে রাজ্যে 217 জলপরীক্ষা কেন্দ্র রয়েছে । তার মধ্যে 216টি এনএবিএল স্বীকৃত । পুরুলিয়ার পাঁচটি ব্লকে ফ্লোরাইডমুক্ত জল সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে । দুই 24 পরগনা, বাঁকুড়া, পূর্ব মেদিনীপুরেও আর্সেনিক ও ফ্লোরাইড মুক্ত জল পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছে ।

এদিন তিনি জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত 90 লক্ষ পরিবারকে পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে । সময়ে জমি পেলে এই পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য যে প্রকল্প চলছে তা সময়েই শেষ হবে । পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহে দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সামগ্রিকভাবে এই মুহূর্তে তৃতীয় স্থানে রয়েছে । তবে শুধুমাত্র চলতি অর্থবছরের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করলে পশ্চিমবঙ্গ প্রথম স্থান উঠে এসেছে ।

মন্ত্রী আরও জানান, এই মুহূর্তে রাজ্যের বেশকিছু অঞ্চলে জলে আয়রন বেশি রয়েছে । তিনি বলেন, এই নিয়ে গবেষণা এবং অনুসন্ধান চলছে ।
এদিন জলস্বপ্ন প্রকল্প নিয়ে বলতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের শেয়ার নিয়েও কটাক্ষ করেছেন মন্ত্রী । বলেন, এই প্রকল্পে কেন্দ্র এবং রাজ্যের শেয়ার ফিফটি ফিফটি । কিন্তু রাজ্যকে জমি কিনতে হয়, রক্ষণাবেক্ষণের খরচ করতে হয় । ফলে আখেরে রাজ্য সরকারের শেয়ার 75%-এ পৌঁছে যায় । তিনি পরিসংখ্যান দিয়ে জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার জলস্বপ্ন প্রকল্পে 12 হাজার 17 কোটি টাকা দিয়েছে । এই প্রকল্পে রাজ্য সরকার খরচ করেছে 11,812 কোটি টাকা ।

মন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, ম্যারাথন নির্বাচন এবং বর্ষার কারণে, উত্তরবঙ্গের বন্যার কারণে এই প্রকল্পের বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বাধা পেতে হচ্ছে । তিনি এদিন জলজীবন মিশনে জমি অধিগ্রহণের ব্যাপারে বিজেপি বিধায়কদের থেকেও সাহায্য চেয়েছেন । এদিন বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরি জানান, জনৈক সজল প্রামাণিককে বিজেপি করার অপরাধে জল সংযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে । উত্তরে মন্ত্রী জানিয়েছেন, 24 ঘণ্টার মধ্যে নির্দিষ্ট অভিযোগ এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে । তাঁর বাড়িতে জল পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে ।

স্কুলগুলিতে পরিশ্রুত পানীয় জল নিশ্চিত করার মন্ত্রীর গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত বলে জানান স্পিকার । জলের অপচয় নিয়েও বিধানসভায় মুখ খুলেছেন মন্ত্রী । মোটর দিয়ে বহু মানুষ জল তুলছে । কেউ নার্সারি, কেউ হ্যাচারি কেউ সেগুলি রেস্তোরাঁয় ব্যবহার করছে। অপচয় বন্ধে এই সদনে বিল নিয়ে আসা হবে বলে এদিন বিধানসভায় জানিয়েছেন মন্ত্রী ৷ একইসঙ্গে তিনি আবেদন করেন, "মানুষকে সচেতন করার দায়িত্ব আমাদের সকলকেই নিতে হবে ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.