ETV Bharat / state

কুলতলিকাণ্ডের মূল পাণ্ডা সাদ্দাম গ্রেফতার, পুলিশের জালে অভিযুক্ত সিপিএম নেতাও - Kultali Fraud Case - KULTALI FRAUD CASE

Police Arrested Saddam Laskar: পুলিশের জালে কুলতলি কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত । গ্রেফতার সাদ্দাম লস্কর ওরফে সাদ্দাম সর্দার ৷ গ্রেফতার করা হয়েছে এলাকার এক সিপিএম নেতাকেও ৷

Police Arrested Saddam Laskar
সাদ্দাম লস্কর (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jul 18, 2024, 10:35 AM IST

কুলতলি, 18 জুলাই: অবশেষে পুলিশের জালে কুলতলির বেতাজ বাদশা ও প্রতারণাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সাদ্দাম লস্কর ওরফে সাদ্দাম সর্দার ৷ বুধবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ঝুপড়িঝাড়ার বানিরধল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে কুলতলি থানার পুলিশ ৷ সাদ্দামের সঙ্গেই গ্রেফতার করা হয়েছে এলাকার এক সিপিএম নেতাকে ৷

সাদ্দামকে আশ্রয় দেওয়া ও তার সঙ্গী হিসেবে কাজ করার অভিযোগ উঠেছিল মান্নান খান নামের এক ব্যক্তির উপর ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, সিপিএম নেতা মান্নানের মাছের ভেড়ি রয়েছে ৷ বানিরধলে ওই মাছের ভেড়ির আলা ঘরেই আশ্রয় নিয়েছে সাদ্দাম । বুধবার রাতে ওই ভেড়ির আলা ঘর থেকে সাদ্দামকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷

আসল সোনার মূর্তির ছবি দেখিয়ে নকল মূর্তি বিক্রি থেকে শুরু করে ডাকাতি, একাধিক অভিযোগ রয়েছে সাদ্দামের বিরুদ্ধে । পুলিশ সূত্রে খবর, সাদ্দামের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ধাতু গলানোর যন্ত্র । তদন্তে এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, 15 বছর ধরে নকল সোনা বিক্রির ব্যবসা চালাত সাদ্দাম । সোশাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করেই মূলত নকল সোনার মূর্তি বিক্রির টোপ ফেলা হত । সাদ্দাম ও তার দলের মূল টার্গেট ছিল ব্যবসায়ীরাই । এরপর নির্জন জায়গায় ডেকে, নকল মূর্তি দিয়ে বা ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিত সাদ্দাম ও তার শাগরেদরা ৷

দক্ষিণ 24 পরগনার কুলতলিতে নকল সোনার কারবার চলছে বলে বেশ কিছুদিন ধরেই খবর আসছিল পুলিশের কাছে ৷ এরপরই তদন্তে নামে পুলিশ ৷ অভিযোগ, পুলিশ গ্রামে গেলে তাঁদের উপর চড়াও হয় সাদ্দামের লোকজন । এমনকী সেই সময় সাদ্দামের ভাই গুলি চালায় বলেও অভিযোগ । পরে বিরাট পুলিশ বাহিনী পৌঁছলেও পালিয়ে যায় সাদ্দাম ।

পরে সাদ্দামের বাড়িতে হানা দিলে চোখ কপালে ওঠে পুলিশের । সাদ্দামের খাট সরাতেই নজরে আসে এক সুড়ঙ্গ । সেই সুড়ঙ্গ পাশের খালের সঙ্গে যুক্ত । ওই সুড়ঙ্গ দিয়েই সাদ্দাম ও তার ভাই পালিয়েছে বলে অনুমান করেন তদন্তকারীরা । দিনকয়েক গা-ঢাকা দিয়ে থাকার পর অবশেষে পুলিশের জালে কুলতলি কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত । ধৃতদের আজ বারুইপুর মহকুমার আদালতে পেশ করা হবে ।

কুলতলি, 18 জুলাই: অবশেষে পুলিশের জালে কুলতলির বেতাজ বাদশা ও প্রতারণাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সাদ্দাম লস্কর ওরফে সাদ্দাম সর্দার ৷ বুধবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ঝুপড়িঝাড়ার বানিরধল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে কুলতলি থানার পুলিশ ৷ সাদ্দামের সঙ্গেই গ্রেফতার করা হয়েছে এলাকার এক সিপিএম নেতাকে ৷

সাদ্দামকে আশ্রয় দেওয়া ও তার সঙ্গী হিসেবে কাজ করার অভিযোগ উঠেছিল মান্নান খান নামের এক ব্যক্তির উপর ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, সিপিএম নেতা মান্নানের মাছের ভেড়ি রয়েছে ৷ বানিরধলে ওই মাছের ভেড়ির আলা ঘরেই আশ্রয় নিয়েছে সাদ্দাম । বুধবার রাতে ওই ভেড়ির আলা ঘর থেকে সাদ্দামকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷

আসল সোনার মূর্তির ছবি দেখিয়ে নকল মূর্তি বিক্রি থেকে শুরু করে ডাকাতি, একাধিক অভিযোগ রয়েছে সাদ্দামের বিরুদ্ধে । পুলিশ সূত্রে খবর, সাদ্দামের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ধাতু গলানোর যন্ত্র । তদন্তে এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, 15 বছর ধরে নকল সোনা বিক্রির ব্যবসা চালাত সাদ্দাম । সোশাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করেই মূলত নকল সোনার মূর্তি বিক্রির টোপ ফেলা হত । সাদ্দাম ও তার দলের মূল টার্গেট ছিল ব্যবসায়ীরাই । এরপর নির্জন জায়গায় ডেকে, নকল মূর্তি দিয়ে বা ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিত সাদ্দাম ও তার শাগরেদরা ৷

দক্ষিণ 24 পরগনার কুলতলিতে নকল সোনার কারবার চলছে বলে বেশ কিছুদিন ধরেই খবর আসছিল পুলিশের কাছে ৷ এরপরই তদন্তে নামে পুলিশ ৷ অভিযোগ, পুলিশ গ্রামে গেলে তাঁদের উপর চড়াও হয় সাদ্দামের লোকজন । এমনকী সেই সময় সাদ্দামের ভাই গুলি চালায় বলেও অভিযোগ । পরে বিরাট পুলিশ বাহিনী পৌঁছলেও পালিয়ে যায় সাদ্দাম ।

পরে সাদ্দামের বাড়িতে হানা দিলে চোখ কপালে ওঠে পুলিশের । সাদ্দামের খাট সরাতেই নজরে আসে এক সুড়ঙ্গ । সেই সুড়ঙ্গ পাশের খালের সঙ্গে যুক্ত । ওই সুড়ঙ্গ দিয়েই সাদ্দাম ও তার ভাই পালিয়েছে বলে অনুমান করেন তদন্তকারীরা । দিনকয়েক গা-ঢাকা দিয়ে থাকার পর অবশেষে পুলিশের জালে কুলতলি কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত । ধৃতদের আজ বারুইপুর মহকুমার আদালতে পেশ করা হবে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.