কলকাতা, 28 জুন: ফের খাস কলকাতায় গণপিটুনির জেরে হত্যা ৷ মোবাইল চোর সন্দেহে প্রথমে ছাত্রাবাসে এক ব্যক্তিকে নিয়ে গিয়ে তার হাত-পা বেঁধে গণধোলাই করা হয় বলে অভিযোগ। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় 37 বছরের বেলগাছিয়ার বাসিন্দা ওই ব্যক্তিকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন ৷ শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে বৌবাজারে নির্মল চন্দ্র স্ট্রিট এলাকার একটি ছাত্রাবাসে ৷ এই ঘটনায় আগে ঘটনাস্থলে মুচিপাড়া থানা এবং বউবাজার থানার পুলিশ কর্মীরা আসেন। পরে এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয় মুচিপাড়া থানায়। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় 14 জন আটক। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
পারিপার্শ্বিক তথ্য-প্রমাণ থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে, শুক্রবার সকালে এক ব্যক্তিকে মোবাইল চোর সন্দেহে ওই ছাত্রাবাসে নিয়ে যায় কয়েক জন যুবক। জানা গিয়েছে, সংশ্লিষ্ট ছাত্রাবাসে বিভিন্ন ছাত্র-ছাত্রীরা থাকেন। অভিযোগ সেখানে তাঁকে হাত-পা বেঁধে নির্মমভাবে অত্যাচার করা হয়। গোটা বিষয়টি জানতে পারেন এলাকার বাসিন্দারা ৷ পড়ে অবশেষে পুলিশে খবর দেন তাঁরা। ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ ওই ব্যক্তিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি ৷ চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে ওই ব্যক্তির মাথায় কোমর এবং বুকে হাতে ও পায়ে গভীর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে বউবাজার থানার পুলিশ। ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। ঘটনার সময় ওই হোস্টেলে কোন কোন ছাত্র উপস্থিত ছিলেন তা জানার কাজ শুরু হয়েছে ৷ ছাত্র ছাড়া আর কেউ ভিতরে ছিলেন কি না সেটাও দেখা হচ্ছে ৷ পাশাপাশি, হোস্টেলের সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যেই সংগ্রহ করেছে স্থানীয় পুলিশ।
বেশ কয়েক বছর আগেও এভাবেই খাস কলকাতায় মোবাইল চোর সন্দেহে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছিল ৷ কোরপান শাহ নামে ওই ব্যক্তিকে এনআরএস হাসপাতালে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ ৷ সেই ঘটনা তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের হোমিসাইড শাখার গোয়েন্দারা। গ্রেফতার হয় বেশ কয়েকজন ডাক্তারি পড়ুয়া ৷